শিরোনাম _ আলেয়া আমি। সুপর্ণা হোড়।
শিরোনাম _ আলেয়া আমি।
সুপর্ণা হোড়।
ঘণ অন্ধকারে চুপচাপ দাঁড়িয়ে,
তুমুল আস্ফালনে ঝড়ো হাওয়া,
তোমার লেখা বন্ধ করা বইটি ধরে
উদাসী মনে বসে রইলাম।
তোমার রচনার প্রেয়সীর সাথে
নিজেকে মেলাতে গিয়ে হয়ে উঠি তোমার প্রেমিকা।
কতবার পরিচিত হয়ে উঠতে চেয়েছি,
সাধ্য হয় নি তোমার নাগালে পৌঁছবার।
গত অঘ্রাণে তোমার দূরভাষ নাম্বারটি পেয়ে
নিজেকে সামলাতে পারি কি করে?
তুমি কেবল হ্যালোটুকু বলতেই,
অঝোরে আবেগ ধরা গলায়
তোমার প্রেমিকা হবার বাসনার নিমন্ত্রণ বয়ে চললো।
হঠাৎই গম্ভীর গলায় কানে এল পাগলী।
থামতে হলো আমাকে।
আর কখনোই সাহসী হয়ে উঠতে পারি নি।
যাই নি কখনো তোমার সামনে নিজের পরিচয় নিয়ে।
এই আঁধারে ডুবে গেলাম তোমার উপন্যাসের মিথ্যে নায়িকা হয়ে।
একটাই পার্থক্য তোমার নায়িকা তোমার ভালোবাসায় আলেয়া,
আর আমি তোমাকে ভালোবেসে আঁধারে ডুবে
যাওয়া এক অদেখা পাগলী।
হঠাৎ করেই ঝড়ো হাওয়া নিস্তব্ধ,
বিদ্যুতের লাইন এল ফিরে।
তোমার লেখা নতুন বন্ধ বইটি খুলে পড়তে শুরু করি।
তুমি এবারে বইটির নাম দিয়েছো” আঁধারে চেতনা খুঁজে বেড়াই।”
কিছুটা পড়বার পর আমি চমকে উঠলাম।
কবি এ তুমি কার কথা লিখেছো?
কাকে নিয়ে এলে তোমার কলমে?
অঘ্রাণের সেই সন্ধ্যার দূরভাষে পাগলীর প্রেম নিবেদনের প্রতিটি শব্দকে তোমার গল্পে করেছো তোমার একান্ত প্রেমিকা।
শেষ লাইনে তুমি লিখে গেলে
সেই পাগলীর সুমিষ্ট আওয়াজ তোমার কর্ণে
প্রতি ক্ষণে ক্ষণে বেজে ওঠে।
আজ বুঝি এই আমি ” আঁধারে চেতনা খুঁজে বেড়াই” এ জায়গা করে নিলাম তোমার প্রেমিকার।
সারা ঘরে চারিদিকে আলো ধরিয়ে দিয়ে আজ
আমি আলেয়া।