হুশ ফিরিয়ে মানুষ হ ©শ্বেতা ব্যানার্জী
হুশ ফিরিয়ে মানুষ হ
©শ্বেতা ব্যানার্জী
গায়ে মেখে ধূলো ধোঁয়া কোথায় যাস!
বাতাস বলে,এ্যাই মেঘ তুই কোথায় যাস?
ইস্টিশন, ইস্টিশন।
চারদিকে জাহান্নামের সৃষ্টিছাড়া রঙ লেগে,
জ্বলছে শরীর ধূলো ধোঁয়ায় চললাম তাই,
পর্বতে পর্বতে।
একবারটি বললে আমায় কি দোষ ছিল!
গৃহস্থালি গুছিয়ে নিয়ে, আমিও যেতাম,
তোর সাথে, তোর সাথে।
তোর তো আবার পায়াভারী ইচ্ছেমতো চলতে চাস,
আসিস না আমার ঘরে মুখ ঘুরিয়ে চলে যাস,
রাগিস না,রাগিস না।
গাছগুলো সব পাখনা কাটা চায়না ওরা উড়তে,
নদীর জল তোর সোহাগ ভুলে কেবলই সে কাঁদছে,
জল কোথা,জল কোথা!
বন্ধ্যা শরীর জল হারিয়ে ধুলো ধোঁয়ায় কাশছে,
তাইতো আমি বিন্ধ্যপর্বতে যাচ্ছি জল আনতে,
যতটা পারি,যতটা পারি।
দাঁড়া,দাঁড়া,আমিও যাবো পিঠের উপর ওঠ বসে,
জেট গতিতে উড়িয়ে নিয়ে যাবোই বিন্ধ্য পর্বতে,
কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা।
কৃতজ্ঞতা দিসনা আমায় মানুষ বড় কাঁদছে,
ওদের দোষেই দোষী ওরা তাইতো এত ভুগছে,
ভুগগ গে,ভুগগ গে।
মরুক গে,মরুক গে।
ধার করলে শুধুতে হবে,দোষ করলে ভুগতে,
এখনো যদি না শুধরায় জলের নিচে ডুববে,
ওরে তোরা মানুষ হ।
হুঁশ ফিরিয়ে মানুষ হ।