“ছুটি” ( অণুগল্প ) শান্তালতা বিশই সাহা
“ছুটি” ( অণুগল্প )
শান্তালতা বিশই সাহা
“ছুটি যেন না হয় বসন্তবিলাসের
ছুটি যেন না হয় অতৃপ্তির নৈরাজ্যের ”
দৈনন্দিন জীবন যাপনে ছুটি পেতে কে না চায় বলো তো, ছুটির সানাই বাজছে দেখ সুরে। স্বরলিপি খুঁজে অন্য কোথাও অন্য কোনখানে, এসো আমরা পাড়ি দিই হৃদয়ের আলাপনে। আজ কর্মক্লান্ত আকাশের পানে তাকিয়ে হৃদয়ের চাপা ব্যর্থতাকে খুঁজে ফিরি প্রতি মুহূর্তে। অবসরের কোন মায়াবী সন্ধ্যায় শরীর এলিয়ে কত অবসরের মুহূর্তে কতরকমভাবে কাটিয়েছি,আজ সেই দিবারাত্রের কাব্য থেকে ধূলো ভরা ক্লান্ত ছুটির ফাঁকে আমার বেলা অবেলা কালবেলার আনন্দে ভাসিয়ে রেখেছি নিজেকে। ছুটি মানে সেই মেয়েটি কিম্বা হারিয়ে যাওয়া সেই মেয়ের কাছে ছুটির জন্য সাজিয়ে রেখেছি একমুঠো রক্তকরবীর ফুল। ছুটি মানে যেন মায়ের হাতের আঁচার, একটু একটু করে খরচ করব তাকে।
ফুলের জলসায় আজ আমি নীরব। অবসর জীবনে লেখা প্রথম চিঠি। মায়ের বিয়োগান্ত জীবনে বছরের প্রথম মাস, আমার অবসর ও মায়ের বিয়োগান্ত এক হয়ে গেল। তোমার ঘরকন্যার অন্ধকারে যে প্রদীপ জ্বেলে গেলে তা মনের গভীরে চিরকাল রয়ে যাবে। আমি ছাত্রী হয়ে ছাত্রীদের মধ্যে হারিয়ে যেতে চাই– এই শিক্ষকতায় আমার সর্বসুখ। এদিকে গান বাজে,”জীবন যখন হারায়ে যায় করুণাধারায় এসো”। আর ঠিক তখনই কোনো এক অনুষ্ঠানে শিশুর গলায় শুনি, “তোমায় হৃদমাঝারে রাখব ছেড়ে দেব না”।
হৃদয়ের গভীর অনুভূতিতে দু’কপোল বেয়ে আশ্রুধারা গড়িয়ে পড়ে, কিছুতেই বুঝে উঠতে পারি না এ কোন অশ্রু ; বেদনার না কি আনন্দের!