সম্পাদকীয় কলমে গীতশ্রী সিনহা
সম্পাদকীয়
অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের সাবলীল পথচলাকে সম্পদ করে দিনাজপুর ডেইলি ওয়েবসাইট ম্যাগাজিন বিনোদন বিভাগ তোমাদের সাথে একান্তভাবে। স্মৃতি বয়ে, বর্তমানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলেছি একত্রিত। মাঝখানে ফেলে রেখে যায় কিছু অমূল্য লেখা… যা নাকি কিছু যুগ বা শতাব্দীর বাহক।
আমাদের ছোট গাঁয়ে
ছোট ছোট ঘর,
থাকি সেথা সবে মিলে
নাহি কেহ পর।
পাড়ার সকল ছেলে
মোরা ভাই ভাই ,
এক সাথে খেলি আর
পাঠশালা যাই ।
শিশুরা হচ্ছে আমাদের আগামী। আমরা কিভাবে শিশুদের প্রতি আচরণ করবো তারমধ্য দিয়েই সমাজ চিত্র ভেসে আসবে। শিশুরা বাগানের ফুল। কাদা মাটির মতো নরম, তুলতুলে, খুব সর্তকে ও আদর সোহাগে আগলে রাখতে হবে। তাদের নিজেদের সুন্দর একটা জগত থাকে। এসো তাদের জগতকে সন্মান করি, যেন আগামীর উজ্জ্বল নক্ষত্র হয় ওরা। প্রতিটি শিশুর মধ্যে নিজস্ব কিছু বার্তা থাকে, স্রষ্টার এমনই সৃষ্টি।
সরকার আমাদের রাস্তাঘাট, চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং স্কুল কলেজ নির্মাণ করে দিতে পারে… কিন্তু আমাদের ঘর তখনই আলোকিত হবে যখন আমাদের শিশুরা সার্বিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। সবচেয়ে মজার ব্যপার, শিশুরা যতটুকু বড় হয়, আমরা তাদের যতটুকু বিশ্বাস করি। তাদের চিন্তা ভাবনা বয়স অনুযায়ী করতে দেওয়া উচিত। বাধ্যতামূলক চাপিয়ে দিয়ে তাদের শিশুসুলভ মনোভাব কে হত্যা করা হয়। আগামীতে কী হবে সে, সেই নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, ভুলে যাই আজকের শিশুটি কিন্তু কেউ একজন।আরও একটা মজার কথা, বড়দের কথা শিশুরা শোনার ক্ষেত্রে খুব দক্ষ নয়, তবে অনুসরণ করার ক্ষেত্রে তারা কখনোই ব্যর্থ হয় না। আসলে ভেজা মাটির মতো, এর উপর যা কিছুই পতিত হয় তার ছাপ ফুটে ওঠে। এসো শিশুদের নিঃস্বার্থ ভাবে ভালোবাসি, জানি খুব কঠিন! কিন্তু এটাই একমাত্র পথ। আমরা আমাদের প্রিয় শিশুকে ভালোবাসি আমাদের স্বপ্নপূরণের আকাঙ্খায়।
অনিচ্ছাকৃত স্পষ্ট কথাগুলো লিখে ফেললাম, কিন্তু না লিখেও যে পারতাম না।
প্রতি সংখ্যায় নতুন নতুন লেখক আসছেন, সেই সাথে পাঠকের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। মধ্যবিত্ত পাঠকদের কাছে অনুরোধ রাখলাম এসো সবাই ধনী হয়ে সাহিত্যের অট্টালিকা নির্মাণ করি।
ভালোবাসা শুভকামনা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি অফুরন্ত।
সম্পাদকীয় কলমে গীতশ্রী সিনহা।