শতাব্দীর সমাধি —– শিখা গুহ রায়
শতাব্দীর সমাধি
শিখা গুহ রায়
তোমার দুয়ারে দাঁড়িয়ে
আমি এক তীর্থের কাক
প্রয়োজন ফুরিয়ে শূন্যতার মাঝে।
তুচ্ছ অধিকার নিয়ে
তোমার সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলাম
অভিমান আমারও তো হয়!
দুঃখ কষ্ট আমারও আছে।
বিদ্রুপের হাসিতে অবলীলায়।
কাচের চুড়ির মতো
মুহূর্তে টুকরো করে দিয়েছো
আমার কোমল হৃদয়কে।
দীর্ঘশ্বাস জমে জমে
আজ আমি উন্মাদ শোকে কাতর
আমার মৃত আর্তনাদ।
দুঃখগুলো একান্তই আমার, শুধুই আমার
উদাসীনতার চাদরে
ঢেকে যাওয়া প্রতিটি ভালোবাসার মৃত্যু হয়
অবহেলার পারিপার্শ্বিকতায়।
আজ আমি নিজেকে বিসর্জন দেবো
নিম্ন মানসিকতায়,
নিজেকে উৎসর্গ করবো
হতভাগ্য এই ব্যস্ততায়।
রোজ রাতেই লিখি
ভালোবাসি ব্যার্থতার হাহাকার,
তবুও দূরে থেকে ভেসে আসে তোমাকে হারানোর ভয়।
সবকিছু হারিয়ে
জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে
আজ বলবোই তোমাকেই ভালোবাসি
আর বেসে যাবো আমৃত্যু।
যেন দুরারোগ্য ব্যাধি,
শূন্যতাগুলো হারিয়ে যায় শতাব্দীর সমাধিতে,
যেমন পরমাত্মার মধ্যে জীবাত্মার নিবেশ।