অহিংসা’ই পরম ধর্ম দুলাল কাটারী
অহিংসা’ই পরম ধর্ম
দুলাল কাটারী
অথচ দ্যাখো, ধর্মের অত্যাচারে ধরাশাহী হয়ে,
দিক হারিয়ে, অন্ধকারে
মাঝে মাঝে গুলিয়ে ফেলি
ধর্মের জন্য মানুষ; নাকি মানুষের জন্য ধর্ম!
ধর্মের জন্মদাতা মানব; নাকি মানবের জন্মদাতা ধর্ম!
বিবেক হীন আবেগে তাড়িত প্রাণ
যেখানেই খুঁজে পায় ধর্ম অবমাননার ঘ্রাণ,
রে রে করে তেড়ে যায়,
কেন কি রক্ষা যে করতেই হবে ধর্ম,
তাতে যদি যায় যাক শত সহস্র প্রাণ।
তারা ভুলেই যায় অহিংস’ই হলো পরম ধর্ম,
সহনশীলতা’ই হলো ধর্ম…
ওরে মূর্খ মনুষ্য, ধর্মের ধারকত্ব অসীম;
তাকে রক্ষা বা ধ্বংস করার তুমি কে হে?
সে ধারকত্বের নূন্যতমও যদি মানুষের থাকতো
তাহলে একটা সুন্দর পৃথিবী গড়ে উঠতো,
মানবে ঈশ্বর বাস করতো, ঈশ্বরে মানবকেই খুঁজে পেতো।
ধর্ম তো এক মহান শুদ্ধ চিন্তার নাম,এক মহান বাস্তবিক শুদ্ধ কর্মের নাম!
তাকে ছোটো করে এমন কোনো জীব আছে নাকি জগতে?
চিনির মিষ্টতায় আলোতে বা অন্ধকারে কোনো পার্থক্য হয় কি?
ধর্ম তো জীবের নিজস্ব বিষয়, নিজের আত্মিক উপলব্ধির বিষয়;
যা মানবের জন্য কল্যানকর হয়ে থাকে;
ধর্ম মানুষকে মানবিক করে, উদার করে, শান্ত করে, উচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণে যুক্তিবাদী করে তোলে এবং সমাজে আনে শান্তি।
অথচ দ্যাখো, মানব আজ এমনই ধর্ম বিশ্বাসে বিশ্বাসী হলো,
ক’টা গ্রন্থের ভাট বকা আর মূর্তি-মূর্তি খেলাকেই বেছে নিলো!
এই দেখলে না, শুধুমাত্র সেলফি তুলে পোস্টানোর জন্যই কেমন বানিয়ে ফেললো আস্ত একটা প্রতিমা!…