কনকাঞ্জলি —- জনার্দন বনিক
কনকাঞ্জলি
জনার্দন বনিক
তুমি ছুঁতে চাইলেই প্রণয়ের ছোঁয়া পাবে, আমি তার মান্যতা দিয়ে থাকি।
তুমি কি সুখের বাসরে বসন্তবেলার কথাগুলো বলতে চাইছো? আমি তার গভীরে গিয়ে শুনতে চাই।
তোমার আমার অন্তরঙ্গতা যখন একটা গভীর সাগরে প্রবেশ করে,আমার মনটা তখন দূর্বাদল শ্যাম।
আমি আশাবরীর খেয়ালে ভজন গেয়েছি , আকাশে তখন পরীরা নেচে বেড়িয়ে বিদায়বেলায় কনকাঞ্জলি করে যায়।
শুদ্ধ বিকেলের নির্মেদ আলোতে শ্রীহরিৎ বনানীতে শঙ্খচিলেরা যখন আনাগোনা করে, মনটা তখন আমার ঋষিশ্রেষ্ঠ।
তোমার ষোল কলার চতুরঙ্গে আমি স্বরলিপি সাজিয়েছি, সায়ন্তনী রাতে তুমি গজল শুনতে পাবে।
আমি তিলোত্তমার আঁচলে থেকে শ্রীভূমিতেই শ্রীলেখার সাধনা করেছি, পত্রলেখারা সবই জানে।
তোমার আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা অনুভূতিগুলো, তুলির টানে মনটাকে সহজিয়া করে তোলে, আজ এই গহনাঞ্জলিতে।