ভাঙন —- দুলাল কাটারী
ভাঙন
দুলাল কাটারী
রিলেশনে তুমি সূর্য। আমার পাঠানো সূর্যযানে এক পলক নিভৃত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখি ছাই অবশেষ।
একটা কথা ভালো করে মনে রেখো, আমিও একজন নারী; তোমার মা ও দিদির মতোই
তাই আমকেও একটুকরো স্বাধীনতার হিসেব করতে হয় দিনের শেষে।
এরকম প্রেমের মোড়কে মোড়া ভালোবাসার কফিন
আমি উপহার হিসেবে আশা করিনি কোনো দিন।
হাতে হাত রেখে স্বপ্নস্মৃতি জোরানো বিকেল গুলো এভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে এটা আমার সেদিনই বোঝা উচিৎ ছিল যেদিন
জ্যোৎস্নামাখা শহর সন্ধ্যায় একটা লতানো গাছ,
শুকনো আবেগ হীন এক মহীরুহকে সাপের মতো পেঁচিয়ে ধরে উদ্দেশ্যহীন ভাবে বেড়ে উঠেছিল।
আজ হড়পা বানের আঘাতে যখন নদীর এক কূল ভাঁঙে
অথবা প্রতিটা বৃষ্টি বিন্দু আমার বালিশ ভিজিয়ে স্যাঁতস্যাঁতে করে তুলছে,
তখন তোমার পাড়ায় নতুন মেলবন্ধন, নতুন পাত্রী খোঁজার হৈ হট্ট গোল সাড়া ফেলে দেয়।
বেশ কিছুটা পথ চলার পর ভাঙন, কি যে সে একাকীত্ব তা অনুভবের সময় টুকুও নেই তোমার।
আসলে সারাজীবন পাশাপাশি থাকার পরও মানুষের মনকে দেখা যায় না।
এভাবে বিশ্বাস না ভেঙে, জীবনটা যদি চাইতিস তাও তোর হাতেই দিয়ে দিতাম রে।
আজ তোকে একটা সত্যি কথা বলছি শোন রে
যদি কোনো দিন বেশ্যা’র কোনো ভালো পুংবাচক বাংলা খুঁজে পাস, তবে সেটা নিজের নামের জায়গায় লিখেনিস্।