‘ভ্যালি অফ ডেথ’ ————// ঋদ্ধি ঘোষ

Mountains at storm. Stock photo. Panoramic Shot.

‘ভ্যালি অফ ডেথ’
————// ঋদ্ধি ঘোষ

অনুমান করা গ্যাছে অন্ততপক্ষে এ মৃত্যুর বয়স একুশ বৎসর ! আশ্চর্য হবার মতো কিছুই ঘটেনি এখনও। সেল থেরাপির পর, ভাতের অক্ষরে উল্টে থাকা আঁশটে খিদেরা মরে গিয়েছিল আগেই, যেভাবে মিনিটে মিনিটে অসংখ্য কোষের মৃত্যু ঘটেছে এতোকাল…

অতৃপ্ত মেঘ, বৃষ্টি-মরণের জন্য স্লিপিং পিল গিলে নিয়েছিল ঠিকই কিন্ত অনুমান করা গ্যাছে রক্ত কালচে, পোড়া চামড়া !

ছুরির বাঁটে নিংড়ে রাখা নিঃশ্বাস, নাকি নিধনের প্রতিশ্রুতি ; কার কাছে ফিরে যাই তবে ?

আসলে জীবন কখনও কখনও কার্বোলিক ছড়ানো সকালের মতো ঝাঁঝালো হ’য়ে ওঠে ! না পারে গর্তের গহ্বরে সেঁধিয়ে যেতে, না পারে জড়িয়ে পেঁচিয়ে শঙ্খ লাগতে।

সময়ের প্লেটে মুখশুদ্ধি সাজিয়ে কে বা কারা পশ্চিমের দরজা হাট করেছিল, এ কথা আজ আর জানতে চাইনা। জানতে চাইনা, পাহাড়ের সূর্যদয়েও কোন্ বিছানায় সমুদ্র খেলা করে। কে কীভাবে কোন্ রাতে পেরিয়ে গ্যাছে প্রিয় গিরিশৃঙ্গ। ঠিক কতবার কোন্ আদরের বিভাজনে নিষিক্ত হয়েছে মহার্ঘ ডিম্বানু !

শাল, সেগুনের হিসেব কোরো না। কড়ি-বরগাতেও ধ্বংসকারী ঘুণ! বিকলাঙ্গ অক্ষর এখন আলকাতরার মতো টুপটুপ ঝরে যায়…

যে চাবিটা ঝুলে থাকত বাঁদিকের কুলুঙ্গিতে, হয়তো তাতে এখন জং, মরচে…! তাকে আর খুঁজে পাইনা কতকাল।

পাতা-মুকুল শস্যসবুজ ; গোলা দেওয়া মড়াই তলার প্রদীপ নিভে গ্যাছে।

ঠাকুমা বলতো–,
“বুকের সলতেটা পোড়াতে নেই রে।”

তবু– পুড়ে যায় !

ধুকপুক…ধুকপুক…

ক্যালিফোর্নিয়া নয়, শোনা গ্যাছে– রাতের জাদুঘরে যে মেয়ে শুয়ে থাকে তার বুকের বাঁদিকেই ‘ভ্যালি অফ ডেথ..’

এ জন্যই বোধহয়, মেয়েটা কখনও দূরে কোথাও ভ্রমণে যায়নি…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *