*তাতেই সুখ —- মনিমালা রুদ্র ভট্টাচার্য্য
*তাতেই সুখ
মনিমালা রুদ্র ভট্টাচার্য্য
দিনটা ছিল কার্তিকের মাঝামাঝি কিংবা শেষের দিক,
সময়টা স্পষ্ট মনে পড়ে রোদেলা সঘন। মনের আকাশে মেঘ; দরজায় আগন্তুকের কড়া নাড়া।
রবী ঠাকুরের ভাষায় মনে হয়,”আজি এ প্রভাতে রবির কর, কেমনে পশিল প্রাণের পর!”
মনের মরুভূমিতে শীতল জিজ্ঞাসার জল—— “কেমন আছো তুমি?” মন বলে ওঠে, যেমনটি রেখেছো তুমি।
কিছু সময়ের জন্য নদীর ঢেউ স্পর্শ করে বালুচরকে, তারপর আবার সেই আগের মতোই——-
তটীনির পথ চাওয়া সাগর সে তো সৌদামিনীর মতো আসে।
স্পর্শের পূর্বেই যেন শত ব্যস্ততায় বিলীন।
রুক্ষ্ম বালু কণারা বহুদিন ঘন মেঘ দেখেছে, কিন্তু ভেজেনি !
বাহারি ফুলগুলো ভ্রমরের গুঞ্জন শুনেছে, কিন্তু স্পর্শ পায়নি!
তাই একটু আভাস পেলেই মনে মনে বহুদূর পাড়ি দেয়; কিন্তু হায়—-
তার তো ওইটুকু সময়ই ছিল। ব্যর্থতা বুকে নিয়ে
আবার মনে মনে না পাওয়ার মাঝেই নিজেকে অভিযোজিত করে!সব ভুল ভেঙে যায়!