কবিতাঃ- “নারীই দেবী হয় ” কলমেঃ–শিল্পী দাস।
কবিতাঃ- “নারীই দেবী হয় ”
কলমেঃ–শিল্পী দাস।
মধ্যরাতে হঠাৎ করে বৃষ্টি এলো,
ঘুম ভেঙে মনে পড়ে গেলো
বহু বছর আগে ফেলে আসা সেই গৃহস্থ সন্ন্যাসীর কথা।
চারিদিক থেকে স্মৃতির অনুরণন ভেসে এলো।
রাতের মৌনতা ভেঙে সেদিন ভিজেছিলাম
অদ্ভুত এক প্রেমের ধারায়।
গৃহস্থ সন্ন্যাসী , তবুও স্খলিত অন্তর জুড়ে
তার, তাচ্ছিল্য অবমাননায় পূর্ণ।
তাঁর পরিশ্রান্ত চাহনিতে খুঁজে চলেছে
একটু আশ্রয়,নারী হৃদয়ে
এক টুকরো নীলিমা,
যেথা সে বসন্তে ভেসে আশা চাঁপার গন্ধে
ডুবে যেতে পারে।
হাত ধরে সেদিন প্রেম ভিক্ষা চেয়েছিলো
আমি কৃপণতা করিনি
হৃদয়ের দ্বার ছিলো অবারিত,ছিলো নিরব অঙ্গীকারে।
আজ নিষ্পাপ তীর্থযাত্রীর মতো হেঁটে চলেছি
স্মৃতির পালকে ভেসে।
কোনো খেয়ালের পাতায় লিখেছিলে আমার নাম।
আজ তোমার সোনালী প্রভাত
আমার সীমাহীন অবসাদ,
তবে কি সন্ন্যাসীর প্রেম ছিলো রুপকথার
এক ধূসর পান্ডুলিপি?
আজও কি প্রর্থনা শেষে
আমার স্থান হয় মনে,?
সকল কাজের অবশেষে?
নারী সে শুধু নারী নয়
সে যে দেবীর আসনও পায় সন্ধ্যা প্রদীপে শেষে।
সে হৃদয়ে আঘাতে বিরহের পদাবলী লিখে
তুমি কোন ঈশ্বর সেবিছো, কন্ঠে মালা গেরুয়ার বেশে?
আত্মদর্শনে চেয়ে দেখো,
নারীই দেবী হয় প্রেমের উৎসব আয়োজনে।
পায়ে পায়ে হেঁটে চলে তোমার সকল ব্যাথার মিছিলে।