সম্পাদকের কলমে কিছু কথা ———-
সম্পাদকীয়
নব পর্যায়ের আত্মপ্রকাশের তৃপ্তি তো আছেই। এবারের সংখ্যা থেকে চেষ্টা করবো আমরা গবেষণা ভিত্তিক তথ্যসমৃদ্ধ কিছু হারিয়ে যাওয়া বিষয়কে অনুসন্ধান করে সাহিত্যের ভান্ডারকে উম্মুক্ত করবো। বলতে বা ভাবনা চিন্তা করতে অসুবিধা নেই, কিন্তু যথাযথ এমন লেখা পাওয়া সত্যিই কঠিন। তাই হয়তো এই সখ্যায় নিজেরাই গত সংখ্যার সম্পাদকীয় কলম পড়ে যোগাযোগ করে লেখা পাঠিয়ে দিয়েছে, পেয়েছি সাহিত্যের আঁচলে যত্ন করে গচ্ছিত রাখা কিছু ইতিহাস।
বাংলা ইতিহাস শব্দটি এসেছে ‘ ইতিহ ‘ শব্দ থেকে, যার অর্থ ইংরেজিতে History শব্দ, বাংলা প্রতিশব্দ হিসেবে এসেছে। ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারণা ‘ ইতিহাস ‘ শব্দটির উৎপত্তি ‘ ইতিহ ‘ শব্দ থেকে, যার অর্থ ঐতিহ্য । ঐতিহ্য হচ্ছে অতীতের অভ্যাস… এখানেই সাহিত্যের সাথে অগার মেলবন্ধনের ইশারা।
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, নিছক অতীতের কাহিনীকেই কি ইতিহাস বলা যাবে ? ইতিহাস
চর্চার ক্ষেত্রে যে উৎসগুলো বিবেচিতকরা হয়।
ইতিহাস হল মানুষের অতীত ঘটনা ও কার্যাবলীর অধ্যয়ন। বৃহৎ একটি বিষয় হওয়া সত্ত্বেও এটি কখনও মানবিক বিজ্ঞান এবং কখনও বা সামাজিক বিজ্ঞানের একটি শাখা হিসেবে আলোচিত হয়েছে। অনেকেই ইতিহাসকে মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞানের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে দেখেন। কারণ ইতিহাসে এই উভয়বিধ শাস্ত্র থেকেই পদ্ধতিগত সাহায্য ও বিভিন্ন উপাদান নেওয়া হয়। একটি শাস্ত্র হিসেবে ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করতে গেলে অনেকগুলো উপবিভাগের নাম চলে আসে: দিনপঞ্জি, ইতিহাস-লিখন, কুলজি শাস্ত্র, পালিওগ্রাফি এবং ক্লায়োমেট্রিক্স। স্বাভাবিক প্রথা অনুসারে ইতিহাসবেত্তাগণ ইতিহাসের লিখিত উপাদানের মাধ্যমে বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেন, যদিও কেবল লিখিত উপাদান হতে ইতিহাসে সকল তত্ত্ব উদ্ধার করা সম্ভব নয়। ইতিহাস চর্চার ক্ষেত্রে যে উৎসগুলো বিবেচনা করা হয়, সেগুলোকে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়: লিখিত, মৌখিক এবং শারীরিক বা প্রত্যক্ষ করণ। ইতিহাসবেত্তারা সাধারণত তিনটি উৎসই পরখ করে দেখেন। তবে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস হিসেবে লিখিত উপাদান সর্বজন স্বীকৃত। এই উৎসটির সাথে লিখন পদ্ধতির ইতিহাস অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। হেরোডোটাসকে ইতিহাসের জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
সাহিত্যের উদ্ভব ও ক্রমবিকাশ ঘটুক আমাদের বিনোদন বিভাগীয় নিমগ্ন ও বর্ণময় মূল্যবান লেখার মাধ্যমে। বলিষ্ঠ কলমের জোরদার উপস্থাপনা নিয়ে আমরা প্রস্তুত… সংকল্প ভঙ্গের যন্ত্রণায় আমরা পুড়তে রাজি না, সময় শুধু চলমান জীবনের সামনা-সামনি দাঁড়িয়ে নিজেদের এবং অপরকে উদ্ধুদ্ধ করে চলবো দলবেঁধে সাবলীলভাবে।
শেষে একটা কৈফিয়ৎ , এই সংখ্যায় লেখা কিছু কম হবে, তবে আশাকরি সকল লেখাই উৎকৃষ্ট মানের হবে। আগামীতে একইভাবে পাশে পাওয়ার ইচ্ছেয় থাকলাম।
এসো জীবনের অনেক কঠিন সত্যের নিয়মের বাইরে এসেও রঙিন আচ্ছাদিত মায়াবী সুন্দর আবেশে ভালো থাকি।
ভালোবাসা শুভকামনা রইল সকল পাঠক নিয়মিত লেখক কবিদের প্রতি। আজ এই পর্যন্ত…
সম্পাদকীয় কলমে গীতশ্রী সিনহা ।