সাফানগর ধর্ষণ কান্ডে গ্রেপ্তার তিন অভিযুক্ত, সাফল্য কুমারগঞ্জ থানার
০৭ই জানুয়ারী, কুমারগঞ্জঃ সাফানগর ধর্ষণ কান্ডের আট ঘন্টা কাটতে না কাটতেই সাফল্য পেলো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ। সোমবার রাতেই তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের তোলা হয় আদালতে। পুলিশ সূত্রে খবর তিনজনের মধ্যে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিল মাহাবুর মিয়া বয়স কুড়ি। তার বাড়ি অশোকগ্রাম এলাকায়। অপর দুই অপরাধী হলো পংকজ বর্মন, বাড়ি তপন থানার যামিনী পাড়ায়, ও গৌতম বর্মন বাড়ি তপন থানার রামপুরের কৃষ্ণবাটি গ্রামে।
পঙ্কজ বর্মন এবং গৌতম বর্মন এর বয়স 19 বছর। কর্মসূত্রে এরা সকলেই ভিন রাজ্যে কাজ করে। পুলিশ সূত্রে খবর প্রমিলা বর্মন এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মাহাবুর মিয়ার। গত সোমবার প্রমীলাকে বিয়ের জন্য ছেলের বাড়ি থেকে দেখতে আসার কথা ছিল।কিন্তু প্রমিলা বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না থাকায় নিজের আধার কার্ড ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে রবিবার অর্থাৎ 5 ই জানুয়ারি বেলা একটার সময় প্রেমিক মাহবুবের কথামতো ফুল বাড়ির উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় চাদর কেনার বাহানায়।সেই ভালোবাসার সুযোগ নিয়ে মাহবুব ও তার দুই বন্ধু অশোক গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে বেলখর গ্রামের নির্জন মাঠে তাকে ধর্ষণ করে।ধর্ষিতা মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়ায় প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মাহবুব ছুরি দিয়ে প্রমীলার পেটে আঘাত করে গলার নলি কেটে দেয়।এরপর যে বাইকে করে তারা সেই জায়গায় গিয়েছিল সেই বাইক থেকে রাস্তায় পড়ে থাকা বোতলে তেল ভরে তার গায়ে ঢেলে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সেই অগ্নিদগ্ধ মেয়েটিকে কালভার্টের নিচে ফেলে দিয়ে বাইকে করে এসে প্রাণ সাগরে রাখা অপর একটি বাইক নিয়ে রাত্রি প্রায় দুটো নাগাদ তারা বাড়ি চলে যায়। কুমারগঞ্জ থানার তদন্তকারী অফিসার ওসি সঞ্জয় মুখার্জী তার পুলিশ অফিসারদের নিয়ে দীর্ঘক্ষন চোর পুলিশ খেলার পর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশের এই তৎপরতায় আবার একবার প্রমাণ হলো পুলিশ সর্বদা মানুষের পাশে রয়েছে। জেলাবাসীর একটাই দাবি অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়া হোক দ্রুত।কারণ কুমারগঞ্জ কাণ্ডে নরকীয় হত্যাকাণ্ডের অপরাধীদের ফাঁসি হলে সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠিত হবে সত্যের জয়।