ইভটিজিং ও শ্লীলতাহানির জেরে আত্মঘাতী নাবালিকা স্কুল ছাত্রী, অভিযুক্ত অধরা
বালুরঘাট, ৭ সেপ্টেম্বরঃ স্কুলছাত্রীকে লাগাতার উত্যক্ত করার পাশাপাশি ইভটিজিং ও শ্লীলতাহানির জেরে আত্মঘাতী নাবালিকা স্কুল ছাত্রী । অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগের সাত দিন পরেও নির্বিকার পুলিশ প্রশাসন । পুলিশের সাথে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেন করেই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অভিযুক্ত বলে অভিযোগ মৃত ছাত্রীর পরিবারের । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের ভিকাহার শেকপাড়া এলাকার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে । পুলিশ জানিয়েছে মৃত ওই ছাত্রীর নাম রুমানা পারভিন (১৪) । ভাইওর স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ।
ভিকাহারের শেকপাড়া এলাকার বাসিন্দা পেশায় কৃষক রফিকুল মাহালতের ছোটো মেয়ে রুমানা । পরিবারে স্ত্রী শিউলি বিবি সহ আরও দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে । অভিযোগ, বিগত কিছুদিন ধরে তাঁর ছোটো মেয়ে রুমানাকে টিউশন ও স্কুলে যাবার পথে উত্ত্যক্ত করত প্রতিবেশী যুবক মহসেন আনসারি । মাঝে মধ্যে তাঁকে মোটর বাইকে তুলে নিয়ে যাবার চেষ্টা করত । তাতে অসম্মতি হলেই জুটত শ্লীলতাহানি । বিষয়টি মেয়ের কাছে শুনে মহসেনের বাবা সেরাজুল আনসারি ও মা রসিদা বিবিকে অভিযোগ করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি তাঁরা । যারপর গত ৩০ আগস্ট ফের টিউশন থেকে ফেরার পথে ওই ছাত্রীকে মোটর বাইকে তুলে নিয়ে যেতে চায় অভিযুক্ত যুবক । তাতে অসম্মতি হওয়ায় সকলের সামনে তাঁকে শ্লীলতাহানি করে অভিযুক্ত । স্থানীয়রা তেড়ে আসতেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত । এদিকে ওই ঘটনার পরেই ৩১ তারিখে স্কুলে না গিয়ে বাড়িতে নিজের ঘরে গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মঘাতী হয় ওই নাবালিকা ছাত্রী । বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগের পরেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় রয়েছে ।
ছাত্রীর বাবা রফিকুল মাহালত ও মা শিউলি বিবি জানিয়েছেন, দিনের পর দিন শ্লীলতাহানি ও ইভটিজিং করায় আত্মঘাতী হয়েছে রুমানা । বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে ।
ছাত্রীর জেঠু রহিমুদ্দিন মাহালত বলেন, অভিযুক্তদের সাথে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেন করেই পুলিশ নিশ্চুপ রয়েছে ।
প্রতিবেশী সালেয়া বিবি জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুক পুলিশ ।
তপন থানার ওসি সৎকার সাংবো জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে । পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে । অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়নি ।