মিড’ডে মিল পরিদর্শনে গিয়ে স্কুলের রান্না খাবার খেলেন জেলা শাসক, হিলির ত্রিমোহিনীতে চকদাপট বিদ্যালয় পরিদর্শন সরকারি আধিকারিকদের
বালুরঘাট, ৩ সেপ্টেম্বরঃ পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। কখনও খাবারের গুণগত মান, কখনও অস্থাস্থ্যকর পরিবেশ আবার কখনোবা, পরিমাণে কম খাবার পরিবেশন ইত্যাদি নানান বিষয় নিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা ঘেরাও এখন প্রায় নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিক ও হাই স্কুল থেকে শুরু করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, শিশু শিক্ষাকেন্দ্র-সহ বিভিন্ন সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে মিড-ডে মিল নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। অনেক স্কুলেই মিড-ডে মিল খাওয়ার নির্দিষ্ট জায়গাও নেই। নেই বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থাও। এমন পরিস্থিতিতেও ছাত্রছাত্রীদের খাবার চুরির অভিযোগ মিলেছে একাধিক বার । আর যার থেকে বাঁচতেই এবার সরজমিনে মাঠে নামলেন খোদ জেলা শাসক ।
মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল নিজেই জেলার হিলি ব্লকের ত্রিমোহিনীতে চকদাপট এফপি স্কুল এবং হাইস্কুল পরিদর্শন করেন। অতিরিক্ত জেলা শাসক কৃত্তিবাস নায়েক সহ হিলির বিডিও সঞ্জয় সুব্বা উপস্থিত ছিলেন এদিনের মিডডে মিল পরিদর্শনে । এদিনের স্কুল ভিজিটের মধ্য দিয়ে বিধ্যালয়ের রান্না করা খাবার খেয়ে গুণগত মান যাচাই করেন জেলা শাসক সহ অন্যান্য আধিকারিকরা ।
প্রশাসন সূত্রের খবর, জেলার যে সব বিদ্যালয়গুলিতে মিড-ডে মিল দেওয়া হয়। সেই সব স্কুলগুলিতে আগামী কিছুদিন এমন পরিদর্শন চলবে । এদিন স্কুলের মিড-ডে মিলের স্টক রেজিস্টার, ডাইনিং হল, রান্নাঘরের ছাউনি, পানীয় জল, পড়ুয়াদের হাত ধোওয়ার জায়গা, শৌচালয়-সহ বিভিন্ন জিনিস খতিয়ে দেখেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এদিন তাঁরা স্কুলের পড়ুয়া ও অভিভাবকদের সঙ্গেও কথা বলে খোঁজখবর নেন । সরকারি আধিকারিকরা স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকাদের পরামর্শ দেন মিড-ডে মিল রান্নার পর তা বাচ্চাদের পরিবেশন করার আগে নিজেরা খেয়ে খাবারের গুণগত মান পরীক্ষা করার। একই সাথে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার বাড়ানোর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দেন সরকারি আধিকারিকরা ।
জেলাশাসক নিখিল নির্মল জানিয়েছেন, ‘স্কুলের মিড-ডে মিল নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা অভিযোগ আসে। যেকারণেই বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করে মিড-ডে মিলের খাবারের গুণগত মান দেখা হবে । বাচ্চাদের খাবারের মান আরও উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।