হিলি টুরা করিডরের দাবীতে সংসদের বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করলেন কমিটির সদস্যরা
১৪ই আগষ্ট, বহরমপুরঃ মেঘালয়ের টুরা হয়ে বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গের হিলি হয়ে মাত্র ৮২ কিলোমিটার দূরত্বের হিলি টুরা করিডরের দাবীতে সংসদের বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করলেন কমিটির আহ্বায়ক নবকুমার দাস সহ বঙ্গরত্ন অমূল্যরতন বিশ্বাস, প্রাক্তন সাংসদ রণেন বর্মণ। এদিন বহরমপুরের বাস ভবনে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তারা। এইদিন অধীর বাবুর কাছে করিডরের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের জন্য তার সহযোগীতা চাওয়া হয় করিডর কমিটির পক্ষ থেকে। তারা দাবী করেন করিডর বিষয়ক মন্ত্রী নিতীন গডকরীর হস্তক্ষেপের জন্য অধীর বাবুর সহযোগীতা চাওয়ার পাশাপাশি সংসদে এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলবার বিষয়েও তাকে অনুরোধ করা হয়। করিডর কমিটির আহ্বায়ক নবকুমার দাস আমাদের বলেন এইদিন তারা তার কাছে দাবী পত্র তুলে দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই বিষয়ে জোড়ালো দাবী করবার জন্য সংসদের বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরীর হস্তক্ষেপের আহ্বান করা হয়। তিনি বলেন এই করিডর বাংলার দিগন্ত খুলে দেবে শুধু নয় দেশের সুরক্ষার প্রশ্নে এই করিডর একটা বিকল্প পথের সন্ধান দেবে। পাশাপাশি মেঘালয় সহ সমগ্র উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে পূর্ব ভারতের মধ্যে যোগাযোগের এই করিডর হয়ে উঠবে সহজ ও দ্রুত যোগাযোগের পথ। যার জন্য ইতিমধ্যে শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী নয় দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি সহ বাংলার মূখ্যমন্ত্রী, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে করিডর কমিটি। এবার দেশের নতুন সরকার গঠন হবার পরে এই প্রথম পুনরায় যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করলো করিডর কমিটি। ইতিমধ্যে এই বিষয় নিয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করে করিডরের দাবী পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে অধীর চৌধুরী জানান এই করিডর বাস্তবায়নের জন্য তিনি সব ধরনের সহযোগিতা করবেন। তিনি বলেন এই বিষয়ে তিনি মন্ত্রী নিতীন গডকরীর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের ব্যাবস্থা করবেন তিনি। তিনি এই রুটে বিবিআইএন চুক্তি মতে বাস এই রুটে বাস পরিষেবা চালুর করবার জন্য মন্ত্রী নিতীন গডকরীর সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।