বালুরঘাটে জেলার ঠিকাদারদের নিয়ে মিটিং-এ কাটমানি নিয়ে অভয় দিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ
৭ই জুলাই, বালুরঘাটঃ দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় কাটমানি নিয়ে এর আগে প্রাক্তন তৃণমূল জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, কাজ পেতে গেলে তার অনুমোদন ছাড়া মিলতো না কোন কাজ, দিতে হতো ৫ থেকে ১০ শতাংশ বা তারো বেশী কাটমানি। এই নিয়ে কিছুদিন আগেই অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের বিরুদ্ধে। আর এই কাটমানি নিয়ে অভয় দিতে ঠিকাদার সংগঠনের পাশে দাঁড়ালেন দক্ষিন দিনাজপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ। রবিবার জেলা ঠিকাদার এ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে গিয়ে জেলার তিনটি ঠিকাদার সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন ঠিকাদার ও তিনটি সংগঠনের কর্মকর্তারা।
এইদিন তৃণমূল জেলা সভাপতির বক্তব্য ছিল, এই জেলায় সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজের যে যে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে, তাতে কোন দাদাগিরি কিম্বা কাজ পাইয়ে দেবার নামে কাটমানি দেবার পুরাতন রীতি আর জেলা চালু থাকবে না। পুরাতন কোন কায়দায় আর এই জেলায় ঠিকাদারি কাজ মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের কুখিগত হয়ে থাকবে না। পুরাতন ঠিকাদারদের পাশাপাশি নতুনদেরও কেউ কাজের সুজোগ করে দেবার ব্যাবস্থা করতে হবে। এছাড়াও এইদিন কিছু সরকারী আধিকারিকেও সতর্ক করে দিয়ে তিনি জানান শুধু কিছু রাজনৈতিক নেতা নয়, এই কাটমানি কান্ডে যুক্ত হয়ে আছে বেশ কিছু সরকারি আমলাও। তারা তাদের পছন্দের কিছু ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেয় বলে অভিযোগ ওঠে এইদিন।
এছাড়াও দক্ষিন দিনাজপুর তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ উপস্থিত ঠিকাদারদের কাছে জানতে চান তাদের সমস্যার কথা, তারা কাজের ময়দানে গিয়ে কি কি সমস্যার মুখোমুখি হন সেই সব কথা তিনি নোট করে নেবার পাশাপাশি সেইসব বিষয় জেলার প্রশাসক তথা জেলা শাসক নিখিল নির্মলের কাছে তুলে ধরে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন। ঠিকাদারদের সব থেকে বড় দুইটি সমস্যা, যার মধ্যে অন্যতম কাজের সাইটে বিভিন্ন সময় দাদাগিরি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, যার ফলে অনেক সময় বন্ধ থাকে কাজ। এছাড়াও জেলায় পাথর নিয়ে আসতে যেভাবে পুলিশ থেকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের দাদাগিরি সামানে আসে, তাতে এই জেলায় পাথর আনতে অন্য জেলার থেকে বেশী পরে বলে অভিযোগ জানান ঠিকাদাররা। তাছাড়াও বেশ কিছু দপ্তরের কাজ মুষ্টিমেয় কিছু ঠিকাদার দখল করে থাকে বলে তৃণমূল জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষের সামনে অভিযোগ ওঠে এইদিন। তিনি বলেন জেলায় কোন দাদাগিরি মেনে নেওয়া হবে না, সে যে রাজনৈতিক দলের হোক না কেন তাকে রেয়াত করা হবে না।