বিজেপির বিজয় মিছিল আটকে দিতে ১৪৪ ধারা জারি প্রশাসনের
৭ জুন, বালুরঘাটঃ বিজয় মিছিলের অনুমতি দেওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ১৪৪ ধারা জারি করে অনুষ্ঠান ভেস্তে দিল প্রশাসন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানার অমৃতখন্ড পঞ্চায়েতের কামারপাড়া ও গোপালবাটি এলাকার ঘটনা। জানাগেছে, বিজেপি প্রার্থীর জয়ের আনন্দে বালুরঘাটের কামারপাড়া ও গোপালবাটিতে বিজয় মিছিলের আয়োজন করে ব্লক নেতৃত্ব। প্রশাসনের কাছে পূর্ব অনুমতি নেওয়ার পরেও কিভাবে মিছিল আটকে দেওয়া হলো তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। দলীয় নেতৃত্বের অভিযোগ জেলা বিজেপির জয় এবং প্রতিটি সভা-সমিতিতে প্রচুর মানুষের সমাগম দেখে ভয় পেয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব । যার কারণেই প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এভাবে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এদিন বিজেপির মিছিল আটকে দিতে লাঠিধারী পুলিশ কর্মীদের টহল দেওয়ানা হয় এলাকায়। এ ঘটনায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে মমতা জারি করা ফতোয়ায় বিজেপির ধন্যবাদ যাত্রা র্যালি রূপান্তরিত হয় ধন্যবাদ জ্ঞাপন সভায়। কুশমন্ডিতে অনুমতি দিয়েও বিজেপির রালি আটকে দেয় প্রশাসন। যাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে এলাকায়। বিজেপির জনপ্রিয়তা দেখে ভয় পেয়েছে মমতা বলে কটাক্ষ করেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার বিকেলে কুস্মুন্ডি ব্লকের আমিনপুর থেকে বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত ধন্যবাদ যাত্রার কথা ছিল । যাকে ঘিরে আবেদনের ভিত্তিতে অনুমতি উপায় মন্ডল নেতৃত্ব । কিন্তু অনুমতি দেওয়ার পরেও ওই র্যালি আটকে দেওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার জয়ী হয়েছেন। ঘটনায় সাধারণ মানুষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে এদিন একটি ধন্যবাদ র্যালির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ব্লক নেতৃত্বদের দাবী, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আবেদনের ভিত্তিতে প্রশাসনের কাছে অনুমতি নেওয়া হয় বৃহস্পতিবারেই। কিন্তু তা সত্বেও এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন র্যালি। এক প্রকার বাধ্য হয়ে প্রশাসনের নির্দেশকে সম্মান জানিয়ে কুশমন্ডি পঞ্চায়েত অফিস সংলগ্ন মাঠে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সভার আয়োজন করা হয়। যদিও ওই সভাকে ঘিরে এদিন প্রচুর জনসমাগম ঘটে। উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান বিজেপি নেতৃত্বরা। লাড্ডু খাইয়ে মিষ্টিমুখও করানো হয় প্রত্যেককে।
প্রশাসনের এমন ভূমিকায় কটাক্ষ করে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান, তিনি ভেবেছিলেন পুলিশ ডিএ পাচ্ছে না, সেজন্যই হয়তো তাদের অসুবিধার কথা জানাতে এলাকায় জড় হয়েছিল। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের মিছিল আটকে দিতে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এদিনের সভায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতৃত্বদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়ে মিছিল বন্ধ করতে রাতারাতি ১৪৪ ধারা জারি করেছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।