গ্রীন ইন্ডিয়া, ক্লিন ইন্ডিয়া ও হেলথ ইন্ডিয়ার ডাক দিয়ে ভারত ভ্রমণের ডঃ এস সেলভাকুমার
১০ মে, বালুরঘাটঃ গ্রীন ইন্ডিয়া, ক্লিন ইন্ডিয়া ও হেলথ ইন্ডিয়া দেশের এই তিনটি গুরুত্বপুর্ন বিষয় সম্বন্ধে দেশের সব রাজ্যের মানুষকে সচেতন করতে ও গিনিজ বুকে রেকর্ড তুলবার লক্ষ্যে স্কুটারে তামিলনাড়ু থেকে পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাটে এসে পৌছলেন তামিলনাডুর আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডঃ এস সেলভাকুমার।
বোটানির টেকনলজি বিভাগের প্রধান ডঃ এস সেলভাকুমারের লক্ষ্য দেশের ২০০ দিনে ১ লক্ষ ২০ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে দেশের ২৯ টি রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে দেশেকে সবুজ, স্বচ্ছ ও স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোই তার প্রধান উদ্দেশ্যে।
তামিলনাডুর কুড্ডালুর জেলার ভাদালুর এলাকার বাসিন্দা বোটানির টেকনলজি বিভাগের প্রফেসর ডঃ সেলভাকার ইতিমধ্যেই তার লক্ষ্য পুরনে তামিলনাড়ু, অন্ধ্র, উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গের ২,৫২১ কিমি অতিক্রম করে ফেলেছেন তার এই সচেতনতার রোড ম্যাপে।
বাড়িতে তার ডাক্তার স্ত্রী শান্তি লতা ছাড়াও রয়েছে তার দুই ছেলে তারাও পেশায় ডাক্তার। তারাও তার এই দেশবাসিকে সচেতন করতে স্কুটারে বেড়িয়ে পড়াকে নানান ভাবে উৎসাহ জুগিয়েছেন। গতকাল তিনি বালুরঘাটে তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বেড়নো অনুরাধা নামে এক ছাত্রীর বাড়িতে এসে দেখা করেন। দীর্ঘদিন পর ওই ছাত্রী তার শিক্ষককে দেখে ভীষন খুশি। পাশাপাশি তাকে আজ সকালে হিলিতে নিয়ে গিয়ে ভারত – বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শনের পাশাপাশি তার পথে বেড়িয়ে পড়ার মুল উদ্দেশ্য নিয়ে ও হিলিতে সচেতনতা চালান।
আজ বিকেলে প্রফেসর তার পথ চলার সাথী স্কুটার টির কিছু কাজ করে সিকিমের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। সিকিম থেকে আসাম হয়ে পাঁচ সিস্টার স্টেট গুলো ঘুরে বিহার হয়ে উত্তরপ্রদেশ দিয়ে জন্মু-কাশ্মীর ঘুড়ে দিল্লি। সেখানে তিনি দেশের প্রেসিডেন্টের সাথে সৌজন্যমুলক দেখা করে তার এই সচেতনতার বিষয়টি অবগত করবেন বলে জানিয়েছেন।
যদিও তার এই পথ চলা এই প্রথম নয়। এর আগে ১৯৮৪ সালেও বাই সাইকেল নিয়ে সচেতনতা নিয়ে দেশের বিভিন্ন অংশ পরিক্রমা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বালুরঘাট থেকে সিকিম রওনা হওয়ার আগে ডঃ এস সেলভাকুমার জানান দেশের জনগনকে সবুজ ভারত স্বচ্ছ ভারত ও স্বাস্থ্য ভারত এই নিয়ে সচেতন করাই তার এই যাত্রা। পাশাপাশি ২০০ দিনে ১লক্ষ ২০ হাজার কিমি অতিক্রম করে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রের্কড হিসেবে নথি ভুক্ত করাও তার মূল উদ্দেশ্য।