যুগের দধীচি **** সঙ্গীতা কর

যুগের দধীচি
সঙ্গীতা কর

আবার কোনো মেয়ে নাম হারাবে
অন্ধকার রাতের গা বেয়ে নেমে আসবে বীভৎসতা,
চারিদিকে জন সমাবেশ তবুও কেউ কিছু দেখবে না
অন্ধ নয়, খোঁড়া নয়, হেঁটে বেড়ানো জীব
দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যাবে তারা
তিল তিল করে যত্ন করা মেয়েটির যৌবনে অতর্কিতে ঢুকবে হায়না
মেয়েটি চিৎকার করবে
তুমি কি পশু? কি ভয়ানক তোমার দৃষ্টি
হিংস্র নখ দাঁত চিহ্ন আঁকবে অজস্র ক্ষতের
ঠোঁট থেকে নিতম্ব সব ছিঁড়ে খাবে জানোয়ার
মেয়েটি রক্তাক্ত হবে,
বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টায় ছুঁড়ে ছুঁড়ে দেবে চিৎকার
চিৎকার কুড়িয়ে আড়াল করে দেবে থলি ভর্তি কিছু লোভাতুর মুখ!
তারপর গোটা পৃথিবী হবে আফ্রিকার জঙ্গল
আদিমতার অন্ধকারে তলিয়ে যেতে যেতে প্রতিটি কামুক ছিঁড়ে খাবে নারীকে
নাম হারিয়ে নারীর পরিচয় হবে তিলোত্তমা, নির্ভয়া, অভয়া!
প্রবল যন্ত্রণায় তাঁর মায়ের অভিশাপ স্পর্শ করবে সমগ্র সভ্যতাকে
পুরোপুরি ধ্বংস হওয়ার আগে উঠে এসো কেউ
মিছিলের প্রথম ভাগে দাঁড়িয়ে গলা উঁচিয়ে বলো আমি তোমাদের সবার বিলুপ্ত হওয়া মেরুদন্ড
আমাকে অবলম্বন করে শক্ত হয়ে দাঁড়াও সবাই,
আজ থেকে কোনো নারী নাম হারা হবে না আর
আমি আছি, আমি আছি, আমি অকুতোভয়
আমিই এ যুগের দধীচি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *