চুপ ! চুপ ! চুপ… ! উত্তম কুমার দাস
চুপ ! চুপ ! চুপ… !
উত্তম কুমার দাস
শরৎ ডাকে আয়রে উঠে ,জীবন জেগে আছে
শিউলি আঁচল বিছিয়ে মায়ের, পদ্ম ছিঁড়ে গেছে
হার মানা হার, নৌকা বিহার, আগমনীর সুরে
দুগ্গা আসে পথে হেঁটে, ওই
দেখা যায় দূরে
ভোর হলো আজ নতুন সকাল,
নেই আকাশে আলো
অন্ধকারের বার্তাগুলো… দেখায় না আর ভালো
কাড়লো অসুর মায়ের ত্রিশূল, বিধলো কলির বুকে
বজ্র ঝড়ে ,বৃষ্টি এলো- সময় দাঁড়ায় ঝুঁকে
চুপ, চুপ, চুপ একটুও আজ শব্দ কোরো না
অন্ধকারে- বদ্ধ সকাল, শিকল বাঁধা … মা
আসবো আবার আসবো ফিরে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে
দুগ্গা হাঁটেন পথে ঘাটে বস্তিতে স্যান্ডেলে…
কথা (গদ্য) ——এমনভাবেই দুগ্গারা হেঁটে চলেছেন ! পথে- ঘাটে, অন্ধকারের বুকে, শহরে- নগরে, প্রান্তরে- প্রান্তরে, জন-জাগরণের মাঝে, প্রতিবাদের মাঝে, মোমবাতি মিছিলে, সকাল- দুপুর সন্ধ্যায় -রাত্রিতে… গভীর থেকে গভীরে! মনের চেতনায়…
আবার আসে শরৎ মাখা, শিশির ভেজা ঘাসে
ভ্রমর খেলে ফুলে, পাতায়, জীবন ইতি হাসে
মহালয়ের নতুন সুরে, ভোরের আলোর গান
এ কোন সকাল রাতের চেয়েও
অন্ধকারেই, ম্লান
যায়না আঁকা তুলির টানে, দেবী মায়ের চোখ
দেখবে না আর মাটির দেবী, ভাঙা -মিছিল লোক
চুপ ,চুপ, চুপ, একটুও আজ শব্দ করো…না
অন্ধকারে বদ্ধ সকাল, শিকল বাঁধা “মা”
অষ্টমী হোক , বা বিসর্জনে …কি বা আসে যায়
সিঁদুর পড়ুক! চোখের তারায় অন্ধ দেবী,মায়
এবার চলুক, মদের নেশায়
মাতাল হবার পালা
আজকে পড়ুক দেবীর অসুর, গলায় ফুলের মালা
একটা পদ্ম কম হলে আজ, উপড়ে দেব চোখ
বলবে বলুক নরম চেয়ার,
ওই… ওদের ভালো হোক
ওরাই মাথা ,ওরাই দেব,ওরাই দেবী আজ
না বুঝে আজ দিচ্ছি মাথা – লজ্জাতে নেই কাজ
আমার মেয়ে বাড়ুক ঘরে, বন্ধ রেখে দ্বার
সকাল, রাতে হারিয়ে গেছে, শুধুই অন্ধকার
চুপ, চুপ, চুপ…আর চুপ নয়
শব্দ অনেক গাঢ়
মোম বাতিতে আর হবে না
মশাল জ্বলুক আরো
উত্তম কুমার দাস