সম্পাদকীয় কলমে গীতশ্রী সিনহা
সম্পাদকীয়
এবার সম্পাদকীয় অলংকৃত হয়েছে কবি আর্য তীর্থের কলম। দিনাজপুর ডেইলি ওয়েবসাইট ম্যাগাজিনের ইতিহাস হয়ে থাকবে । দীর্ঘ পথের পাথেয় মনেকরি।
। পুজোয় ফিরছি, উৎসবে নয়।
একটা মোটে মেয়ের শোকে ,
উৎসব কি ভুলবে লোকে
পুজোর চোখে দেখে সবাই গোটা বছরটাকে,
প্ল্যান কত কী রাখা ছকে,
ভাসিয়ে দিলে সবগুলোকে
সম্বৎসর টানতে ঘানি আর কি গো জোর থাকে!
এই কথাটাই রাজার লোকে বাজিয়ে বেড়ায় ঢাকে।
কিন্তু রাজার জানার কথা ,
আজন্মকাল পুজোই প্রথা
আনন্দ শোক বিষাদ ক্রোধে শরণ নেওয়া মা’য়ের
নয় উৎসব টুকলি-চোথা,
বিলিয়ে দিলেই হেথাহোথা
অমনি খুশি আসবে ফেরত শহর এবং গাঁয়ের।
ঘরের মেয়েটার বিচার চেয়ে মামলা আজও দায়ের।
এত কোটি লোকের দেশে,
ভিড় তো হবেই পুজোয় ঠেসে,
কয়েক লক্ষ লোকের শোকে চোখ দেয় আর কজন,
শুঁড়িরা সব বেজায় হেসে,
সাক্ষী মাতাল ভালোবেসে
হিসেব দেবে বিক্রি বাড়ার কয়েক হাজার ডজন।
প্রতি এক-এর দূরে থাকায় ভিড় বাড়াবে ন’জন ।
সেসব ভিড়ে কোণের দিকে,
‘জাস্টিস চাই’ জামায় লিখে,
আমরা যাবো কন্যা বুকে বিষাদ- পরিক্রমায়,
দেখবে ন’জন আড়নিরিখে,
উৎসাহ সব হবেই ফিকে,
পাড়ার কারোর মৃত্যু যেমন সব ঘরে সুখ কমায়।
উল্লাসেরা ক্ষমা চেয়ে ফিরবে তিলোত্তমায়।
প্যান্ডেলে ঠিক পৌঁছে যাবো,
ভক্তিভরে প্রসাদ খাবো
তার মানে নয় শব ভুলে সব মাতবো রে হুল্লোড়ে
মেয়ের নামে রোজ চেঁচাবো,
আটকে দিয়ে নেই তো লাভও,
দেখবে নতুন মানুষ একই আওয়াজ তুললো রে।
পুজো এবং উৎসব ভাই গুলিও না ভুল করে,
আসছি না কেউ দাবীর থেকে একখানা চুল সরে।
মেয়ে আমাদের ছড়িয়ে যাবে অঞ্জলি-ফুল ধরে।
আর্যতীর্থ
অনবদ্য লেখা। কবিতার ছন্দে সুঠাম বক্তব্য তুলে ধরার এই মুন্সিয়ানা আপনার প্রতিটি কবিতাতে পাই। কিন্তু সম্পাদকীয় কলমের মাধ্যমে ঠিক এই সময়ে বাংলার প্রতিটি মানুষের বুকের ব্যাথাকে যেভাবে ছন্দিল করে যুক্তিবাদী হয়েছেন , পূজোর এবং উৎসবের বাস্তবতা কে স্বমহিমায় প্রতিস্থাপিত করেছেন তা এককথায় দুর্দান্ত।