সুভান ✒️✒️ গীতশ্রী সিনহা
সমগ্র বিষয় তাৎপর্য প্রতিবিম্বিত করাই অনুগল্পের উদ্দেশ্য ও শিল্পরূপের প্রেরণা । অনুগল্প হচ্ছে ছোটগল্পের নবজাতক শিশু। তবে, অনু বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে গিয়ে গল্পের রূপ রস সৌন্দর্যকে লুপ্ত করলে চলবে না। পাঠকের পাঠ তৃপ্তিদায়ক হতে হবে। শব্দ ও স্বাদের ব্যবহার শিল্পের রূপ বহনকারী হতে হবে। সুপ্ত কলা -কৌশল সামান্য কিছু শব্দের মাধ্যমে নিপুণ গাঁথুনি সৃষ্টি করবে।
এক কথায় বলি… স্বল্পতে সমুদ্রতল। ( সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত অভিমত )
অনুগল্প —–
সুভান
গীতশ্রী সিনহা
চোখে ছিল অচেনা ভাষা, নিবিড় অনুভূতি , সঞ্চিত তৃণ যত্নে লালিত আবেগ – তুফান সরিয়ে দিতে পারে নি বসুন্ধরা। কথোপকথনে আদুরে প্রলেপ, কাছাকাছি চলে এসেছিল। কথা হতো ফোনে… দেখা হয়নি।
সামাজিক দুর্যোগ কে আড়াল করতে বেদ, উপনিষদ, চন্ডী, গীতার শক্তিকে সাথে নিয়ে চলতো বসুন্ধরা। কিন্তু, কোন শক্তির কবজ বাধা দিতে পারেনি শেষ পর্যন্ত । যে ঐশ্বর্যের বিশ্বময় খেলা চলছে … তার স্পর্শ কতজনের ভাগ্যে জোটে !
অনুভূতি -আবেগ তাড়িত চোখের গভীর ভাষা নিয়ে সুভান আজ সামনাসামনি দাঁডিয়ে …
————- রানি
শুধু হাতটা ধরে বসুন্ধরা আলতোভাবে …
যে বাতাস ছুঁতে পারে না, যে বাতাসে গাছের পাতা দোল খায় না, শুধু মাত্র ওদের দু’জনের মধ্যে বয়ে চলে বীজমন্ত্র , অলীক প্রকৃতি পূর্ণতা পায়… ক্ষয়িত কষ্ট শুরু হতে থাকে।
হিমালয় আজ দুয়ারে দাঁড়িয়ে… তাও কি সম্ভব !!!
দুটি অসম মন – অদৃশ্য শক্তির সামনে স্বীকারোক্তি করে চলে … আমরা অঙ্ক বুঝি না –কবি, শিল্পীর সময়-সাগর থেকে অদৃশ্য শক্তির ভাষা উচ্চারিত হতে থাকে জন্ম তারিখ আমরা মানি না ! সদ্য স্নান করে নগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে দেখেছো কি ! খুঁজে পাবে না জন্ম তারিখ ! চিহ্ন নেই শরীরে কোথাও !!!!