উন্নতির পোক্ত সোপান *** প্রদীপ মণ্ডল

উন্নতির পোক্ত সোপান
প্রদীপ মণ্ডল

এখন ঘুরে ঘুরে পাড়ি দিতে হয়, বেছে বেছে সন্তর্পণে ফেলতে হয় পা। ঘুড়ি খোলা আকাশে একবার গোত্তা খেলে পুনরায় যে পাখা মেলবে, কে দেবে সে ভরসা! সোজা বলে কিছু নেই আর, সবেতেই পাকদণ্ডী, সবেতেই মারনপ্যাঁচ। তেমনি, এখন অন্ধকারে হোঁচট খাওয়া বিচিত্র কিছু নয়। দিন যে রাতের অধিক কালো।

এখন আর কাঁচের শিশি ভাঙে না। ভাঙে হাড়, ভাঙে মন, ভাঙে গ্রাম-শহর, ভাঙে সমাজ, ভাঙে দেশ। এবার বলো, পা ভাঙলে কাকে দোষ দেব? মন ভাঙলেই বা কার দায়? ও পা যে আমারই, ভাঙলে আমারই যাবে, মন ভাঙার দায়ও তো নিতে হবে নিজেকেই। চিৎকার চেঁচামেচিতে এখন আর ফল ফলে না, গা বাঁচিয়ে তাই বেছে বেছে পা ফেলতে হয়।

সবেতেই তো স্বার্থ বিজড়িত, কারো ছোট, কারো মাঝারি, তো কারো বড়! ফ্রি বলে তো এখন কিছু হয় না, কোন না কোন ভাবে মূল চোকাতেই হয়। নিঃস্বার্থেও স্বার্থ লুকিয়ে থাকে। সবেতেই তো আশা-আকাঙ্ক্ষা, সকলেই কিছু না কিছু চায়! তাই তো একে অপরকে মাড়িয়ে চলা, উঁচু গলায় কথা বলা। ছলাকলা না জানলে বাপু বেঁচে থাকার বড়ই ঠ্যালা। তাই, আখের গোছানো এখন আর কোন দোষের নয়! কৌশলে সাধ্যমত সকলেই গুছিয়ে নেয়।

বরং, যে আখের গোছাতে পারে না, ছলাকলা জানে না, ভাঙতে জানে না, সমাজ তাকে মানে না। তার তো তাই বেঁচে থাকা সাজেও না। কাকে তুমি অধঃপতন বলছো স্নেহলতা? এ অধঃপতন নয়! এ যে এখন আধুনিক সমাজে উন্নতির পোক্ত সোপান!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *