চূর্ণীনদীর বাঁকে **** গীতশ্রী সিনহা

চূর্ণীনদীর বাঁকে

গীতশ্রী সিনহা

চিবুকের মসৃণতা রেশমের অস্তিত্বকে ঈর্ষা জাগায়…
মুহূর্তেরা নিস্তব্ধ আলিঙ্গনে ঘ্রাণ ছেঁচে মিশে যায় হেমন্তবেলায়…
জ্যোৎস্না নামে চূর্ণীনদীর বাঁকে অলৌকিক ছায়ায় !
আমি তাকে একটি বার ছুঁয়ে দেখতে চাই, ভৈরবী সোহাগে !
নিভৃতে গোধূলি মায়ায় লেপ্টে থাকি তোমার এলোমেলো চুলে…
যাপনের নামতা আঁকতে গিয়ে… মুহূর্ত বধির হয় !
আলো নিভে আসে… আঁধার মাড়াই… উন্মুক্ত হয় দিগন্ত !
ঠিক তখন-ই !
বিকেল যেন আলতো করে সন্ধ্যে ছুঁয়ে রাতের পাশে বসে !
অজস্র মায়াময় অপেক্ষা ঘুমের মধ্যে পাশ ফেরে…!
তারা বলে চলে…
অরণ্যের প্রতিটি বৃক্ষের স্বাধীনতা আছে… অথচ…
ফুলেরা জানে না, শ্মশানে না মন্দিরে তাদের পুনর্বাসন !
যে রঙ দিয়ে সাজবো ভেবেছিলাম —
তার অকাল মৃত্যু হয়েছে গতকাল —-
এক উদ্বাস্তু নীলচে পুনর্বাসন সপ্তর্ষির দরজায় ডুবে মরে ,
দুরের সুবর্ণ রেখার দিকে তাকিয়ে !
আকাশহীন আকাশকে জড়িয়ে বৈষ্ণবী বিকেল দেখতে চাই !
শুধু একবার…!
পুরোনো নিঃশ্বাসে জেগে থাকুক কিছু বেহায়া শিহরণ !
অন্ধকারে তোমার হাত ছুঁয়ে দেখি!
ছেঁড়া পৃষ্ঠা ঝড় তোলে…
অক্ষর – শব্দ – ছন্দ- সমবেত মিছিলে —–
নগ্ন বারান্দায় অমনোযোগী উপত্যকা ঢলে পড়ে উরুর ভাঁজে-ভাঁজে
নির্বিকার সুঠাম স্তুপের মাঝে বিহ্বল দৃষ্টি…
পিদ্দিমের আলো হিম নিশীথের নীল জ্যোৎস্না দৃশ্য থেকে ফিরে আসে চোখে… শতাব্দী বিলুপ্ত প্রায়… বিসর্জনের হাট বসেছে সমস্ত অন্তরীক্ষ জুড়ে…

শতাব্দী সাঙ্গ হলে ফিরে এসো চূর্ণী নদীর বাঁকে —
বোবা কালা অন্ধকারে নীলরঙা হাসি ছড়িয়ে এসো —–

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *