মহামিলন **** কৃষ্ণা সেন

মহামিলন

কৃষ্ণা সেন

বেলা শেষে সৌন্দর্যটুকু বিলুপ্ত প্রায়
তবু সৌন্দর্যের রেশ টুকু জড়িয়ে আছে দিগন্তব্যাপী। কিছুক্ষণ পরে কালো ওড়নার আড়ালে রাত্রির পদচারণা। কিছুক্ষণের জন্য নিস্তব্ধ চরাচর। অন্ধকারের বুকে ফুটে ওঠে লক্ষ্ নক্ষত্রের মেলা। ছায়াপথের আলোয় আলোকিত হয় নৈসর্গিক মন।

আঁধারের বুকে মহাকাল এঁকে যায় তার পদচিহ্ন।

ঘূর্ণায়মান পৃথিবী তার চলার ছন্দে আবার নতজানু হয়ে আদিত্যের চরণে।
আলো-আধাঁরির স্মিত হাসি তে গিরিরাজ হিমালয় ধ্যানমগ্ন।
উদ্ভাসিত গরিমা, রাজকীয় ভঙ্গিমা ,দৃপ্ত উন্নত শির মৌন হিমালয়।

অভ্র ভেদি গিরিশিরা অজস্র দিগন্তব্যাপী। কত হিমবাহের জন্মভূমি। হিমবাহ সৃষ্টি করেছে কত ধারা উপধারা। গিরিশিরা বিদীর্ণ করে শত শত ধারা ছুটে চলেছে হিম রাজ্যে।

গিরিখাত এর সংকীর্ণ পথ পেরিয়ে চড়াই-উৎরাই ভেঙে এগিয়ে চলেছে সহস্র তটিনী। কখন বন উপবন অরণ্য আর শ্যামল ছায়ার হাত ধরে স্রোতস্বিনী এসে পড়ে সমতল প্রান্তে।

মহাদেবের জটাজাল থেকে মুক্ত হয়ে প্রবাহিত হয় জাহ্নবী। তার শত শত ধারা দিকে দিকে ধাবিত। জীবনের সুর মূর্ছনা কে জাগিয়ে ছুটে চলে মহা সমুদ্রের বুকে মহামিলনের আহবানে।

এই অপরূপ সৃষ্টি চক্র মনে শুধু বিস্ময় জাগায়। বারবার নতজানু হই এই মহা বিশ্বের কাছে।

কৃষ্ণা সেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *