অস্তিত্বের লড়াই ❤️ শাহবাজ ❤️

অস্তিত্বের লড়াই

❤️ শাহবাজ ❤️

জলে ভাসা শেওলা ও নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নদীর পাড় কে আঁকড়ে ধরতে চায়,নদীর তলদেশে জমা আগাছা গুলোকে ধরে নিজের অস্তিত্ব চিরস্থায়ী করতে চায়। অথচ মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব হওয়ার সত্ত্বেও অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ব্যর্থ । প্রতিদিনই মানব জাতি ক্ষয়িষ্ণু । ধীরে ধীরে মানব সভ্যতা পতনের পথে অগ্রসর।সেই বৃক্ষ-ই স্থায়িত্ব লাভ করে,যে বৃক্ষ মাটির উপরে যতটা ঠিক ততটাই মাটির নিচে শিকড় বিস্তৃত করতে সক্ষম।
অথচ এই মানুষ একদিন নিজের বিস্তারের জন্য বনের হিংস্র জন্তুজানোয়ারের হাত থেকে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার্থে পাথর কেটে হাতিয়ার তৈরি করেছে,ঝড় বৃষ্টির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ডাল পাতা খড় কুটো দিয়ে কুঠির গড়ে তুলেছে, পোকামাকড়ের হাত থেকে নিজের শরীরকে বাঁচাতে গাছের ছাল পশুর চামড়া দিয়ে পোশাক বানিয়েছে।অথচ আজ সভ্যতার এই পর্যায়ে এসে,যেখানে আধুনিক মেশিন দ্বারা প্রস্তুত রঙ বেরঙের উন্নত পোশাক এসেছে, উন্নত আসবাবপত্র, উঁচু উঁচু আকাশ চুম্বি বিল্ডিং, আধুনিক যত টেকনোলজি, চোখের পাতা বন্ধ হওয়ার পূর্বেই সব কিছুই হাসিল করা যাচ্ছে, সেখানেও মানুষ আজ অস্তিত্ব সংকট ভুগছে।যখন পোশাক বানানোর সাধন ছিলনা, মানুষ গাছের লতাপাতা দিয়ে নিজের অঙ্গটা বেশ ভালোভাবেই সুরক্ষিত করে রেখেছিল,আর এখন সব সাধন থাকার সত্ত্বেও আমরা আমাদের অঙ্গ ঢাকতে পারছিনা। কিছু মানুষ অঙ্গ ঢাকবার চেষ্টা করছে, শালীন ভাবে বাঁচতে চাইছে।আর একটা শ্রেণীর মানুষ সমাজকে বস্ত্রহীন করে তোলার কাজে সব সময় মত্ত। আবার একদল শালীনতার নামে পর্দার অন্তরালে আবদ্ধ করে রাখতে চাইছে জীবনকে।মানব সভ্যতার প্রসার প্রচারে স্থায়িত্ব দিতে সব চেয়ে বেশি যেটা কাজ করেছে সেটা হলো ধর্ম। বিভিন্ন ধর্ম না থাকলে,মানব সভ্যতা ফুলে ফলে বেড়ে ওঠার আগে, অচিরেই হারিয়ে যেত।আর বর্তমানে মানব সভ্যতার অস্তিত্বের জন্য ধর্মই সব থেকে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য এর জন্য ধর্মকে দ্বায়ী করা ঠিক হবেনা,বলতে পারেন ধর্মের ঠিকেদ্বাররা দ্বায়ী,আর কিছু দুশ্চরিত্রের ব্যবসায়ী মানুষ দ্বায়ী।এই মানুষ গুলি সব ধর্মেই বর্তমান।এরা নিজেদের স্বার্থের জন্য জাতি ধর্ম বিভিন্ন গোষ্ঠিতে মানুষকে বিভক্ত ও বিভ্রান্ত করে রেখেছে।আর এরা যখন যেখানে যেমন খুশি ব্যবহার করে চলেছে,আর এদের সাথে আছে ক্ষমতা লোভী কিছু রাজনৈতিক নেতা।এরা শহরের উঁচু উঁচু বিল্ডিং এর ছাদে দাঁড়িয়ে, নিচে গড়া আপনার ছোট্ট লক্ষ্মীর আবাস স্থান ছোট কুঠির কে, আপনার মন্দির-এর মতো ঘর কে ,আপনার মসজিদ-এর মতো বাড়ি কে আবর্জনার স্তূপ ছাড়া আর কিছুই ভাবে না, এবং আপনাকে কীটপতঙ্গ ছাড়া কিছু নয়। এখন আবার এদের দলেই ছড়িয়ে পড়েছে লেখক নামের কিছু ছত্রাক ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবী।
এরাও মানব জাতির শত্রুদের সাথে হাতে হাত,সুরে সুরে মিলিয়ে চলছে।তাই একটাই অনুরোধ করবো, নিজেকে এবং এই মানব সভ্যতা টিকিয়ে রাখতে রক্তপিপাসু ঐসব মুখোশধারী মানুষ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখুন,নিজেও বাঁচুন আর মানব সভ্যতাকেও বাঁচান।ঈশ্বর বলেন, আল্লাহ বলেন আর ভগবান বলেন,তিনি যখন এতবড় ধরনী সৃষ্টি করতে পেরেছেন, ধর্ম গড়তে পেরেছেন,তিনি রক্ষাও করতে পারবেন,তাই ঐ ভণ্ডদের কথা না শুনে আপনি আপনার ধর্মে আপনার কর্মে মনোনিবেশ করুন ।তাতে করে আপনি ও আপনার পরিবার সুখি হবে এবং মানব সভ্যতারও মঙ্গল হবে। নিজের অস্তিত্ব, সত্তা বজায় রাখুন,মানব সভ্যতাকে ফুলে ফলে ভরে উঠতে দিন।

❤️ শাহবাজ ❤️

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *