প্রতিচ্ছবির ব্যবহারিক বৈশিষ্ট্য ✍️ মহুয়া গাঙ্গুলী
প্রতিচ্ছবির ব্যবহারিক বৈশিষ্ট্য।
———————–✍️ মহুয়া গাঙ্গুলী।
শুরুতেই বলে রাখি, যেটুকু ভাবনা সেটুকুই উপলব্ধি জীবনের গল্পে।
কারন একটাই, জীবন আর মৃত্যু একইসঙ্গে দু’পিঠ বরাবরে এগিয়ে চলে।
তাই আমাদের কাছে “স্মৃতি” বলে যেটাকে তকমা দিই… সেটা আসলে গল্প। কারন প্রমান ছাড়া সবটাই বানানো মনে হয়। তাই সেক্ষেত্র ধরেই টেনে আনছি আজকের প্রসঙ্গ “ফেসবুকে অ্যালবাম বা ছবি বনাম সাহিত্য ।
“বদলাচ্ছে সব বদলায় না স্মৃতি, ছবিগুলোর যেন ভাসানোই রীতি ” এটা একদম আমারই মনের কথা।
আসলে লিখি মানেই পড়াশোনা সবসময় নয়
লিখি মানে শব্দের মায়াজালে অনুভূতির ছবি আঁকি।
তাই নিজেকেই যখন আয়নার সামনে দাঁড় করাই… সেখানেও কোথায়ও যেন নিজের ভিতরকেও আরো একবার আবিষ্কার করে ফেলি।
হ্যাঁ সেরকমই চাই প্রভাবিত করতে একজন পাঠকের উপলব্ধিকে..আসলে কথাতেই আছে “নিজেকে একবার আয়নার সামনে দাঁড় করাও… তারপর অন্যের বিচার করো।”
তবে তখনই মাথায় আসে সেই লাইন…” তুমি কি কেবলই পটে আঁকা ছবি..?” তারমানেই ঐ লাইনেই পরিস্কার..
ছবি থেকেই কল্পনা জন্মাচ্ছে। আলোর প্রতিবিম্ব আর প্রতিসরণ এগুলোর তো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অবশ্যই… কিন্তু আমাদের জীবনমুখী ভাবধারা, অনুভূতি, ..মগজ তথা পিটুইটারির ক্ষরণ দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত। আমরা আসলে যাকে সাহিত্য বলি, সেটি আদতে নিজের অনুভূতি অথবা চাক্ষুষ যা কিছু সব ব্যক্ত করি ভাষায়। ব্যাকরণ একটি ছক… যার মাধ্যমে সাহিত্য ধারার বিভিন্ন নামকরণ হয়েছে।
তবে সবকিছুর যেমন ভালোমন্দ দিক আছে , এক্ষেত্রেও এটিও ব্যাতিক্রম নয়…
যেমন, প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখাটা খুব জরুরী।
এমন অহেতুক ছবি সাহিত্যের উঠোনে জুড়বোনা..যেটি সাহিত্যকে ঢেকে দেবে…
প্রাসঙ্গিকতা কে তরান্বিত করতে ছবি একটা সম্পর্ক তৈরী করে। কারন যারা আঁকেন,তারাও একইভাবে একটি গল্প বা ভাব ফুটিয়ে তুলতেই মরিয়া হন।
আবার উপলব্ধি বিভিন্ন ভাবধারায় প্রভাবিত।
দেখা যায় একটা লেখা থেকে হাজার লেখা বেরিয়ে এলো বিভিন্ন ভাবধারায়।
ফেসবুক কথার অর্থ মুখ পুস্তিকা।
সাহিত্য যখন মলাটবন্দী পুস্তক.. তখন যেটি আমরা কল্পনায় আনতে চাই… মুখপুস্তিকা ( ফেসবুক) সেটিকে অনায়াসে প্রকাশ্যে আনতে পারে।
সবশেষে একটা কথাই বলি..
আমরা যখন যে লেখাই কলমে ধরি,
সার্বিক যতোই বলি, অস্বীকার করার জায়গা নেই, বেশীরভাগ পাঠক যেন লেখক/ লেখিকাকেই চরিত্র আকারে ভাবতে ভালোবাসেন। তাই ব্যক্তিগত প্রশ্নের সম্মুখীনও কিছু ক্ষেত্রে হতে হয়।
একটা লেখক/ লেখিকার সেখানেই মনেকরি সার্থকতা।©️✍️ মহুয়া গাঙ্গুলী।