আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে অমর শহিদ স্মরণে হিলি সীমান্তে একাকার হয়ে গেলো দুই বাংলা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে অমর শহিদ স্মরণে হিলি সীমান্তে একাকার হয়ে গেলো দুই বাংলা। হিলি জিরো পয়েন্ট রূপ নিলো দু’দেশের ভাষা প্রেমিদের সম্প্রীতির মিলন উৎসবে।
২১শে ফেব্রুয়ারী,বাংলাদেশ প্রতিনিধি, জাহিদুল ইসলামঃ
২১শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে অমর শহিদ স্মরণে, দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের শূন্য আঙিনায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দুই বাংলার ভাষা প্রেমীদের মিলন উৎসব। হিলির বাংলাদেশ প্রান্তে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় অমর একুশে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উযাপনের এই আয়োজন করেছিল স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত এবং ভারতের বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটি।
সকাল সাড়ে ১০টায় ভারত থেকে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন সে দেশের বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটি সম্পাদক সূরজ দাশের নেতৃত্বে বালুরঘাট, মালদা ও কলকাতা থেকে আগত ১৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এসময় তারা চেকপোস্ট সংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পাশে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। কিছুক্ষণ পরে দুই দেশের শিল্পীরা বিভিন্ন কবিতা, নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন। ভারতের পক্ষে নৃত্য পরিবেশন করেন বালুরঘাট রেইনবো সোসাইটির কর্ণধার শুভঙ্কর রায় ও সদস্য অন্যন্যা পাহান।
অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ, পৌরসভা, স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংবাদ মাধ্যেমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার লিয়াকত আলীর সভাপত্বিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহীন, সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত পত্রিকার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ও ভারতের বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটির সম্পাদক সূরজ দাশ।
বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটির সম্পাদক সূরজ দাশ বলেন, অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে হিলি শুন্যরেখায় দু’দেশ মিলে আয়োজন হলো। কাঁটাতারের বেড়ায় বিভেদ দুই দেশের মধ্যে সৃষ্টি করলেও ভাষার বিভেদ করতে পারেনি।
আয়োজক ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত পত্রিকার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জানান, জল, বাতাস ও পাখীকে যেমন আটকানো যায় না। তেমনি ভাবে মায়ের মুখের ভাষাকেও সীমান্তে দেয়াল তৈরী করে আমাদেন্বাংলা ভাষার শান্তির বার্তাকে কেউ আটকাতে পারবে না। ভাষা এক সংস্কৃতি এক। আমরা আওয়াজ সারাবিশ্বের মানুষের কাছে পৌছে দিতে চাই। তাই প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আয়োজন করেছি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার লিয়াকত আলী বলেন, সকালে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এরপরে ছোট পরিসরে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, ছড়া, গল্প অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনের কার্যক্রম শেষ হয়।