“প্রেম না’কি পাপ” 🖊️ মৌসুমী মন্ডল চতুর্থ পর্ব…….
“প্রেম না’কি পাপ”
🖊️ মৌসুমী মন্ডল
চতুর্থ পর্ব…….
প্রদীপ্ত র আত্মহত্যা অনুশ্রীর মানসিক স্থিতি তছনছ করে দেয়।তিতলি ,যে মেয়ে অনুশ্রীর প্রানের চেয়েও প্রিয় ছিল,সে আজ মা কে ঘৃণা করে।বাবার মৃত্যুর পরে সে কলেজের হোস্টেলে চলে যায়।তিতলির বয় ফ্রেন্ড সব জেনে তিতলির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
সেদিনের ঘটনার পরে অর্ক প্রভ আর অনুশ্রীর সাথে কোনো যোগাযোগ রাখে নি।প্রদীপ্তর মৃত্যুর সঠিক কারণ কেউ না জানলেও অর্ক প্রভ ও তো প্রত্যক্ষ ভাবে দায়ী।
অনুশ্রী আবার সোশ্যাল মিডিয়া কেই আঁকড়ে ধরে।অ্যাড ফ্রেন্ড অপশনে খুঁজতে খুঁজতে একদিন খুঁজে পায় তার কিশোরী বয়সের প্রেম অনিরুদ্ধ কে।অর্ক প্রভ কে ভুলতে অনিরুদ্ধ র সাথে আবার নতুন করে সম্পর্ক গড়তে চায়।ধূর্ত অনিরুদ্ধও সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ছাড়ে না।
কিছুদিনের মধ্যেই অনুশ্রী বুঝতে পারে,অনিরুদ্ধ আদৌ তাকে ভালোবাসে না।অনিরুদ্ধ শুধু অনুশ্রীর সাথে শরীরের খেলা খেলতে চায়।
অনুশ্রী আবার ও ফিরতে চায় অর্ক প্রভর কাছে।কিন্তু অর্ক প্রভ অনুশ্রী কে ফেসবুক,হোয়াটস অ্যাপে ব্লক করে দিয়েছে। ফোন নম্বর ও বদলে ফেলে যোগাযোগের সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
একসাথে স্বামী ,দুই পুরুষ বন্ধু,এবং একমাত্র মেয়ের কাছে আঘাত পেয়ে অনুশ্রী ক্রমশ ডিপ্রেশনের শিকার হতে থাকে।
সে যে ভালোবাসার কাঙাল।
ক্রমশ সে মানসিক রোগীতে পরিণত হয়।
অনুশ্রীর বাবা মা তাকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করেন।
সুস্থ হওয়ার বদলে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
আজ অনুশ্রী মেন্টাল অ্যাসাইলামে।
পরকীয়া প্রেমের এই কি পরিণতি?????
একটা সুন্দর সংসার নষ্ট হয়ে গেল ।
পরকীয়া প্রেম বৈধ বলে স্বীকৃতি পেয়েছে।
কিন্তু সত্যি ই বৈধতা দেয়া উচিত?
স্বেচ্ছাচারী অনুশ্রীর এই অবস্থা এক বিরাট প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিল সমাজ কে।
কে দায়ী?
অর্ক প্রভ না অনিরুদ্ধ না অনুশ্রী নিজে????????