দগ্ধ দিনের শেষে**(পর্ব-২৫)**অবহেলিত প্রেম______নর্মদা চৌধুরী (তুলিকা)
******** দগ্ধ দিনের শেষে**********
************(পর্ব-২৫)**********
________অবহেলিত প্রেম____________
#@#@#@ নর্মদা চৌধুরী (তুলিকা)@#@#@
কোন এক সন্ধ্যায় বিসন্ন দৃষ্টিতে চেয়েছিল মেয়েটি!
অসহায় হাত খুঁজেছিল একটা নিরাপদ আশ্রয়,
হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত পায়ে সে পৌঁছে যায় মানুষের বাজারে।
তাকে বাজারজাত করতে খুব বেশি সময় লাগেনি সমাজের বুকে বাস করা ভদ্রজনের;
বাবুর টাকার প্রয়োজন ছিল,
আর এক বাবুর ব্যাভিচারের সামগ্রীর,
আর সেই মেয়েটির আশ্রয়ের।
প্রত্যেকের প্রয়োজন মিটেছিল;
শুধু মৃত্যু হয়েছিল বিশ্বাসের!
মৃত্যু হয়েছিল মানবিকতার!
মৃত্যু হয়েছিল একটা সহজ সরল হৃদয়ের।
যে কেউ চাইলেই তা অর্জন করতে পারে না,
তার জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়।
কিন্তু কেনই বা আপনি অকারণে অন্যের জন্য ত্যাগী হতে যাবেন?
টাকা দিলেই যখন সব কিছু পাওয়া যায়-
তখন মানবিকতা দেখিয়ে কি লাভ!
সেই মেয়েটি কিন্তু আর পাঁচজনের মতো চুপ করে সব অন্যায় সহ্য করেনি;
সমাজের তথাকথিত ভদ্রবেশী কোন এক নেতা গোছের লোকের মুণ্ডুচ্ছেদের অপরাধে কারাগারে নিজেকে নতুন ভাবে গড়ে তুলছে!
কারো কুদৃষ্টিকে সে ভয় পায় না,
প্রয়োজনে সে আরো মুণ্ডুচ্ছেদ করতে পারে……
কেন পারে জানো!
সে মরতে ভয় পায় না,
চোখের সামনে অনেক অসহায় মৃত্যু দেখেছে সে,
এ রণাঙ্গনে যুদ্ধরত অগ্নিকন্যা!
যার দৃষ্টিতে পবিত্র হয়ে যায় আদি পিতার পাপ।
দগ্ধ দিনের শেষে শিশির স্নানে সে তখন দেবী!
বিন্দু বিন্দু ঘাম ভিজিয়ে দিয়ে যায় তার…….
আগামীর স্বপ্ন।
আজ আর একলা পথ তাকে কাঁদায় না,
শুভেচ্ছা বহন করে জীবনের অনন্ত পথের!
সেই পথে যদি আবারও দেখা পাও কোন দিন কোন নিরাভরণ শ্যামাঙ্গীর!
সাথে থাকার প্রতিশ্রুতি দিও না কোন পথিক,
বরং শিখিয়ে দিও একলা চলার মন্ত্র।
শিখিয়ে দিও প্রতিবাদের ভাষা,
ঝরা পলাশের সাথে যেন মৃত্যু হয় সেই সরলতার।