#চতুর্থ পর্ব # #কৃষ্ণবর্ণ# কলমে-:মমতা শঙ্কর সিনহা(পালধী)

#চতুর্থ পর্ব #
#কৃষ্ণবর্ণ#
কলমে-:মমতা শঙ্কর সিনহা(পালধী)
আজ আবার “কৃষ্ণবর্ণ” নিয়ে লিখতে বসলাম। বিশ্ব কবির বিখ্যাত কবিতা “কৃষ্ণকলি” তে আসি।কবি গুরু সেখানে বলছেন বর্ষার আগমনে যখন সারা আকাশ ঘনকালো মেঘে ছেয়ে যায় ঠিক তেমনি এক মূহুর্তে মাঠে বাঁধা শ্যামলা গাই দুটি ভয়ে ডাকছে ।আর তাদের সেই ভয়ার্ত,আর্ত ডাক শুনে ব্যাকুল চিত্তে গাই দুটিকে কুটিরে ফিরিয়ে আনতে তস্ত্র পায়ে কে সবার আগে কে ছুটে আসছে?আর কেউ নয়,পল্লির সেই কৃষ্ণবর্ণা পল্লিরমনী।এখানে তার কোমল, বাৎসল্যসুলভ চিত্তের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।সেই কৃষ্ণবর্ণা রমনীর “ভ্রূ” যুগল মাঝে তার হরিণ চক্ষুযুগল যেনো আরও মোহময় হয়ে উঠেছে কবি কল্পনায়।সামান্যা এক রমনী কৃষ্ণকলি রূপে অসামান্য রূপ পেয়েছে বিশ্ব কবির লেখনীতে।রমনী কৃষ্ণকলির রূপ যেনো আষাঢ়, শ্রাবণ মাসের মেঘলা দিনে তমালবন যেমন বর্ষাস্নাত হয়ে চকিতে খুশি হয়ে ওঠে তেমনি নবরূঢ়া রূপে প্রকাশিত হয়েছে।
আবার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এর রুদ্ররূপ দেখি যখন তিনি–শিশুপাল,জরাসন্ধ্র,
কংসকে,বধ করছেন।এই রুদ্ররূপ ধারন করে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ করেছেন সৃষ্টের পালন।তেমনি মা-কালী রুদ্ররূপ আবির্ভূতা হয়ে সকল আসুরিক শক্তির হাত থেকে তাঁর সন্তানদের রক্ষা করেছেন। সেই মা-কালী ই কিন্তু সাধক বামাক্ষ্যাপা,রামপ্রসাদ,
রামকৃষ্ণদেবের মত মহান সাধকদের কাছে কখন কন্যারূপে কখন মা-রূপে ধরা দিয়েছেন।অর্থাৎ কালোরূপের যেমন “রুদ্র” দিক আছে কালকে দমন করার জন্য তেমনি সকল বিশ্বজগৎ সংসারকে ভালোরাখার, ভালবাসার জন্য স্নেহময় রূপও ফুটে ওঠে সেই কালরূপের ভুবনমোহিনী রূপের আলোকে।
“কৃষ্ণবর্ণ” তাই কখনোই ঘৃণার নয়।কালো মানে অন্ধকার, আর সকল অন্ধকারের শেষেই যে আলোর দিশা পাওয়া যায়।
(ক্রমশ)