নিশ্বাসের গন্ধ *** গীতশ্রী সিনহা

নিশ্বাসের গন্ধ
গীতশ্রী সিনহা
সময়ের গা ঘেঁষে বিবর্ণ ইতিহাসের ছোপ চুঁইয়ে নামে …
বিছানা খোঁজে নিশীথ যন্ত্রণায়… অট্টহাস ভাসে সময়ের শরীরে
কড়িকাঠে চোখ রেখে বীজ পুঁতি স্বপ্ন লোধ্র শিকড়ে…
কাল – রাত্রির দেওয়ালে তোলপাড় শ্লোগানের শ্লোক
কতোদিন চুম্বনের দাগ পড়েনি অবাঞ্ছিত সময়ের চিবুকে…
শুনেছি ! ক্রিয়েটিভ মানুষরা নাকি অগোছালো থাকে ! বিভ্রান্ত থাকে !
বন্ধুহীন জীবন কার্নিশে শ্যাওলার মতো একলা দুপুর কাটায়…
সম্পর্কের বাজারে বন্ধু খোঁজার তল্লাশি চলে, বাহারি সম্পর্কের পসরা সাজিয়ে বসেছে দেশীয় পণ্যের বাজার…
শব্দহীন মানুষের ভীড় শান্ত অন্ধকার… কঙ্কাল !
শৈশব সময় সম্পর্ক, প্রিয় সন্ধির আবছা ফ্রেম…
দেহের মূল থেকে উপড়ে যায়… মুছে যায় দাগ !
নত হয় ব্যাকরণ শব্দের কাছে… লেখা হয় ক্ষত্রিয় পান্ডুলিপি…
শ্মশানের চুল্লিতে শ্রাদ্ধের আয়োজন চলছে, হাড় মজ্জা হৃৎপিন্ড
লাশ পোড়ার গন্ধ আলপিনের মতো গায়ে এসে নিশ্বাস ঝড়ের কাঙালপনা …
এদিকে… অবিচার করার হাতের প্রোফাইল বিচার করতে বসি !
সূর্যের থেকে আগুন ধার করে জীবন কাটে যেন দেওয়ালে লেগে থাকা টিকটিকি জীবন !
স্তূপীকৃত আস্তাকুঁড়ে লটকে থাকে গবাদিপশুর সাথে জীবন্ত লাশ…
প্রকান্ড শাবলের ছোবলে সভ্যতার অন্ধকার রূপান্তর হয় ত্রিকাল-মায়ায়। ভাগাড় চাপা অন্ধকার থেকে আলোর দূরত্ব ঠিক জানা নেই …! জানা আছে সভ্যতার দূরত্ব… !
অট্টহাসির মতো পিন্ডদানের মন্ত্র উচ্চারণ হতে থাকে… বেওয়ারিশ লাশের পাশে ঠিকানা হারানো জ্যান্ত লাশের তাল…
তাও, ইথারে ভাসছে সঙ্গীত… বিশ্বসংসারে কিছুই থেমে নেই… অনিচ্ছাকৃত ভুলের দাপটে চমকাচ্ছে “দাঁড়াও” ঝান্ডা…!
মা কালীর দিব্যি বলছি লিখতে চাই না… সবটাই আসলে লেখার চোখে দেখি যে … !