#লজ্জা #মালবিকা_পণ্ডা

#লজ্জা
#মালবিকা_পণ্ডা

 

সনৎ বাবু হন্তদন্ত হয়ে ঘরে ঢুকে স্ত্রী কে আদেশ করলেন ,”তাড়াতাড়ি করে আমার জন্য ভালো করে এক কাপ কফি বানিয়ে দাও । বেশ কড়া করে । ইউনিফর্ম টা খুলতে খুলতে বললেন , বেশ ঠাণ্ডা পড়েছে । তাড়াতাড়ি করে দাও । কফি টা খেয়েই বাথরুমে ঢুকবো ।”
স্ত্রী শ্রুতি রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে বললেন ,”এতো তাড়া কিসের ! কোনো দিন তো এতো তাড়া দাও নি । আজ এতো তাড়া কেন ? আমাকে তো বলার দরকার নেই , আমি তো জানি তোমাকে এই সময় চা বা কফি দিতে হয় ।”
এই কথা শুনেই সনৎ বাবু ফোঁস করে উঠলেন । “মেয়ে মানুষের মুখে এতো কথা মানায় না । পুলিশের কাজ কি সেটা তো জানো না ! জানলে এতো কথা বলতে না । আজ এখানে ধর্মঘট , তো কাল ওখানে ধর্মঘট । আবার কতগুলো ছেলে মেয়ে চাকরির জন্য রাস্তা অবরোধ করে বসে আছে । তাদেরকে মেরে ধরে রাস্তা ফাঁকা করতে হয় । বুঝতে পারছো কাজের চাপ কত আমাদের মাথায় ।”
শ্রুতি একটা বড় কাপের এক কাপ কফি এনে হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে ,”হুঁ , দেখছি তো টিভিতে। ছেলে মেয়ে গুলো তাদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য কি না করছে । জল , ঝড় বৃষ্টিকে তোয়াক্কা না করে, দিনের বেলায় রোদে পুড়ে , ধর্না দিয়ে বসে আছে ‌।”
সনৎ বাবু কফিতে চুমুক দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন , “সূর্য কোথায় গেছে ? বন্ধু দের সঙ্গে কোথাও বেরিয়েছে
বুঝি । সারাদিন টো টো করে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া আর কাজটাই বা কি তার ।” সূর্য হল সনৎ আর শ্রুতির একমাত্র সন্তান।
“সে টো টো করে ঘুরে বেড়ানোর ছেলে নয় , সেটা তুমি ভালো করেই জানো । তা ছাড়া পড়াশুনা করেই আর কি হবে ! যা অবস্থা দেখছি ছাত্র ছাত্রীদের। শ্রুতির কথা শুনে কাপে চুমুক দিতে দিতে হঠাৎ চোখ তুলে তাকালেন সনৎ শ্রুতির দিকে । শ্রুতি আবার বলতে শুরু করল , “সূর্য তার স্যারের বাড়ি গেছে । ঐ স্যার যদি না থাকতেন আমার সূর্য টা আজ এই জায়গায় পৌঁছাতে পারতো না । আমি চোখে দেখিনি ওর স্যারকে , কিন্তু মনে মনে একটা অবয়ব কল্পনা করে সকাল সন্ধ্যা প্রণাম করি ।”
সনৎ কাপের কফি টুকু শেষ করে দিয়ে বাথরুম চলে গেলো । তারপরেই ছেলে সূর্য বাড়িতে ঢুকলো । ছেলেকে দেখতে পেয়ে শ্রুতি বলল ,”কি রে তোর জন্য টিফিন নিয়ে বসে আছি , এতো দেরি করলি কেন ? সেই কখন বেরিয়েছিস ? এতক্ষণে ফিরলি ? হাতমুখ ধুয়ে খেয়ে নে । এখন অবশ্য টিফিন করলে রাতে খেতে পারবি না।”
“আজ আর খাবো না মা । স্যারের বাড়িতে অনেক কিছু খাওয়া হয়ে গেল । স্যার কিছুতেই ছাড়লেন না ‌ ।
উনি ভালো আছেন তো । আর ওনার স্ত্রী ! তিনি কেমন আছেন ? মাঝখানে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ।” শ্রুতি জিজ্ঞেস করে সূর্য কে ।
“খুব ভালো আছেন । আমাদের দেখে তো আরো ভালো হয়ে গেলেন । কাকীমা ও খুব খুশি । না খাইয়ে ছাড়লেন না ।”
“ঐ মানুষটা না থাকলে তুই আজ এই জায়গায় আসতে পারতিস না সূর্য ।”
“আমি জানি মা । বাবার অল্প টাকায় সংসার চালানো , তার উপর আমার পড়াশোনা । আমিও পড়াশোনায় ভালো ছিলাম না । অংক ভয় পেতাম । স্যার কাছে বসিয়ে আদর করে , ধৈর্য সহকারে , কত যত্ন নিয়ে শিখিয়ে ছিলেন । বারবার বুঝিয়ে ছিলেন ,”তুমি যাকে ভয় পাবে , সে তোমাকে বারবার ভয় দেখাবে । তুমি ভয় কে জয় করে ওকে ভয় দেখাও ।দেখবে তখন আর তুমি কোনো কিছু তে ভয় পাচ্ছো না । সেটা মানুষ হোক বা কোনো বিষয় । তারপর থেকে আমি অংক কে জয় করলাম ।” স্যার কত খুশি হয়েছিলেন ।
“এই রকম মানুষ কে কখনও ভুলে যাস না সূর্য । সেটা মহাপাপ হবে ।”
“ভুলে যাবো আমি ! জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ঐ মানুষ টা আমার হৃদয়ে থাকবে । তোমার কোনো চিন্তা নেই মা ‌ । তোমার ছেলে অকৃতজ্ঞ নয় ।”
রাতে খেতে বসে তিনজনে আলোচনা হচ্ছে । যে রকম হয় বাঙালি পরিবারে । খেতে বসলেই রাজ্যের আলোচনা । যে কোনো আলোচনা । সামাজিক আলোচনা , বেকার যুবকদের নিয়ে আলোচনা , রাজনৈতিক আলোচনা আবার অনেক সময় যাত্রা বা সিনেমার আলোচনাও হয় । আলোচনা হতে হতে বেকার যুবকদের দাবি আদায়ের প্রশঙ্গ এসে পড়ে ‌ । সূর্য বলে, ছেলে মেয়ে গুলো কে দেখলে খুব কষ্ট হয়
মা । হয় তো আমাকে ও একদিন দেখতে পাবে ওদের সঙ্গে । আমিও হয় তো একদিন রাস্তায় ঐ ভাবে বসে থাকবো দাবি আদায়ের জন্য ।”
“অত নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না । এখন খাচ্ছো খাও ।” মুখে খানেকটা ভাত ঢুকিয়ে সনৎ বাবু ছেলেকে উপদেশ দিতে থাকেন ।
“ঠিকই তো বলেছে , কোনো ভুল তো বলে নি ।
তোমরা আবার ঐ ছেলে মেয়ে গুলো কে মারধর কর ।তোমরা তো মানুষ নও । তোমরা কি একবারও ভেবেছো যে , তোমাদের বাড়িতেও সন্তান আছে । তাদের অবস্থাও এই রকম হতে পারে ।” শ্রুতি কথা গুলো স্বামীর দিকে ছুঁড়ে দিয়ে এঁটো বাসন গুলো তুলে নিয়ে রান্না ঘরে চলে গেল ।

বেশ কয়েকদিন পর সূর্য তার স্যারের বাড়িতে যায় । স্যার তখন কোনো একজনের সঙ্গে ফোনে ব্যস্ত
ছিলেন । কথা গুলো শুনে বুঝতে পারলো স্যার খুব উত্তেজিত । কাউকে কিছু একটা নির্দেশ দিচ্ছেন । সূর্য তার স্যারের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে চলে এলো । বাড়ি না গিয়ে বন্ধুর বাড়িতে গেল । বন্ধুর সঙ্গে বসে বসে গল্প করতে করতে টিভি টা চালিয়ে দিল । সূর্য বা তার বন্ধু সিনেমা বা সিরিয়াল পছন্দ করে না । কি যে সিরিয়াল বানায় আজকাল , বসে দেখা যায় না । সব সিরিয়াল একই রকম , কোনো মাথা মুন্ডু নেই ‌ । তার থেকে নিউজ দেখা ভালো । সার্চ করতে করতে খবরের চ্যানেলে দিল । তারপরেই একই জিনিস । আন্দোলন আর আন্দোলন । নিজেদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য আন্দোলন । সূর্য মন দিয়ে দেখছে, হঠাৎ চোখ দুটো কপালে উঠে গেল । একজন বয়স্ক মানুষ কে একটা পুলিশ লাঠি দিয়ে মারছে মাটিতে ফেলে ! আর দেখতে পারলো না , বন্ধ করে দিল টিভি । সূর্যর বন্ধু জিজ্ঞেস করল ,”বন্ধ করলি কেন ? অন্য চ্যানেলে দে । কোনো নাচ গানের চ্যানেলে ।” সূর্য কোনো কথা না বলে বেরিয়ে পড়ল । কোথাও দাঁড়ালো না । সোজা বাড়ি ফিরে এলো । এসেই সাইকেলটা রেখে সোজা নিজের ঘরে । মা বুঝতে পারে ছেলে কে দেখে , কিছু একটা হয়েছে । ধীরে ধীরে ছেলের ঘরে গিয়ে দেখে ,”সূর্য চেয়ারে বসে দুই হাত টেবিলে রেখে মাথা নিচু করে বসে আছে ।”
শ্রুতি আসতে আসতে ছেলের মাথায় হাত রেখে বলল ,”কি হয়েছে বাবু ! এইভাবে তো কখনও তোকে দেখিনি ! আজ কেমন যেন তোকে লাগছে ।কি হয়েছে বাবা ! আমাকে বল ।”
সূর্য হাত দুটো মাথা থেকে নামিয়ে মায়ের দিকে তাকালো । শ্রুতি দেখলো এই চোখ তার চেনা নয় ! এই চোখ সে কখনো দেখেনি । এই চোখের গভীরে অনেক প্রশ্ন লুকিয়ে আছে ! সেই গভীরে অনেক ঘৃণা জমা
হয়েছে । যার প্রকাশ তার সারা মুখে – চোখে ছড়িয়ে পড়েছে । শ্রুতির চোখ দুটো কুঁচকে গেল । তাকিয়ে আছেন ছেলের দিকে । সূর্যর ঠোঁট দুটো একটু ফাঁক হতেই তার মা সাহস দিয়ে বলে ,”বল বাবা কি হয়েছে ?”
সূর্য দুহাত দিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে
“মা ঐ লোকটা কখন বাড়ি ফিরবে ?”
“লোকটা কি রে ! তোর বাবা ! এই ভাবে কেউ কখনও বলে !” সে তো ফিরে গেছে ।
“ঐ লোকটা আমার কেউ নয় , কেউ নয় মা” ‌ বলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল । মা আজকে টিভিতে দেখেছো , কিছু শিক্ষক, কর্মচারী তাদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য রাস্তায় নেমে ছিল । বাড়তি পাওনা নয় , ভিক্ষা নয় , অনুদান নয় , শুধুমাত্র নিজের পাওনা টুকু আদায়ের জন্য দাবি জানিয়েছিল ।”
“হ্যাঁ ! কিন্তু তার সঙ্গে তোর বাবার কি সম্পর্ক !” তার সম্পর্কে তুই কেন এইভাবে বলছিস ?
সূর্য মুখ খানা তুলে দুহাত দিয়ে চোখ মুছে নিয়ে বলল ,”ঐ দাবি আদায়কারীদের মধ্যে একজন হলেন আমার স্যার ।” কথাটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের মা বড় বড় চোখ করে মুখে হাত দিয়ে পাথরের মত দাঁড়িয়ে রইল । কিছু ক্ষণ পর বললেন ,
“কি বলছিস! তোর স্যার ! কিন্তু আজ আমি টিভিতে দেখলাম যারা দাবি জানিয়েছিল তাদের মেরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ‌।”
“হ্যাঁ মা ! হ্যাঁ ! তার মধ্যে আমার স্যার ছিলেন !”
আমার স্যারকে মাটিতে ফেলে পেটে লাথি মারা হয়েছে । পুলিশ লাঠি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে । সূর্যর কথা গুলো শুনতে পেয়ে তার বাবা সনৎ বাথরুম থেকে বেরিয়ে একটা টাওয়েল দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বললেন , “মা – ছেলে কি গল্প হচ্ছে শুনি ।”
সূর্য তার বাবার কাছে একরাশ ঘৃণা নিয়ে বলল , “আর আমাকে স্যারকে কে মেরেছে জানো ? কে মাথা ফাটিয়েছে জানো মা ? কে পেটে লাথি মেরেছে জানতে চাও ? তারপর বাবার দিকে আঙুল তুলে দেখিয়ে বলল ,”তোমার পুলিশ স্বামী” ..
” কি!” তোর বাবা ! সূর্যর মা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস
করেন ।
সূর্য বাবার চোখে চোখ রেখে বলে ,”আমার বাবা নয় মা ! তোমার পুলিশ স্বামী। দেশ রক্ষক! তিনি দেশ রক্ষা করেন মা !” কথা গুলো বলার সময় সূর্য এক লহমার জন্যেও বাবার চোখ থেকে চোখ সরায় নি । শুধু চোখ দিয়ে অবিরাম বয়ে চলেছে লবনাক্ত স্রোত ।
সনৎ যে ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল সেইভাবেই দাঁড়িয়ে
ছেলের কথার প্রত্যূত্তরে বললেন ,”আমি তোর স্যারকে মেরেছি ! মাথা ফাটিয়ে দিয়েছি !”
হ্যাঁ মিঃ সনৎ গোস্বামী! আপনি! আজ টিভিতে আমি দেখে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে গেছি , তার পরে বাড়ি ফিরে এসেছি । আপনার ঐ বিভৎস রূপ আমি এই জীবনে ভুলবো না মিঃ সনৎ গোস্বামী!
“আমি আমার ডিউটি করেছি মাত্র।” তাতে কার মাথা ফাটল , কে মরল , কে বাঁচলো আমার দেখার কথা নয় ।”
“ঠিক বলেছেন মিঃ সনৎ গোস্বামী ! আচ্ছা মিঃ গোস্বামী ! কোন ধারায় লেখা আছে “মহিলাদের কামড়ে দিতে হয় , ন্যায্য দাবিদারদের মেরে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিতে হয় !” আমাকে বলতে পারেন মিঃ সনৎ গোস্বামী! আমার স্যার কি চুরি করেছিলেন? কোনো মহিলাকে উত্তক্ত করেছিলেন? না ! আমার স্যার অন্যান্য শিক্ষকদের সঙ্গে তার ন্যায্য পাওনা টুকু দাবি জানিয়েছিলেন ।”
সূর্য র মা এতক্ষণ চুপচাপ সব শুনছিল । তার চোখ দুটো থেকে ঠিক যেন আগুন ঠিকরে বেরোচ্ছে। তিনি ধীরে ধীরে গিয়ে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে বললেন,”তোর স্যার এখন কোথায় বাবু ?” কেমন আছেন তিনি ?”
একটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে। আমরা কয়েকজন বন্ধু গিয়ে দেখে এসেছি । যে ডাক্তার স্যারকে দেখছে , তিনিও স্যারের ছাত্র ছিলেন। আমি রক্ত দিয়েছি মা স্যারকে । মা আজ আমার বন্ধুদের কাছে আমি বলতে পারিনি , যিনি স্যারকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছন , তিনি আমার বাবা । মাথা নিচু করে ছিলাম । এর থেকে লজ্জার আর কি হতে পারে মা !
সনৎ বাবু এতক্ষণ পর্যন্ত মাথা নিচু করে ছেলের কথা গুলো শুনছিলেন । তার পর নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিয়ে মাথার চুল গুলো দুহাত দিয়ে মুঠো করে টেনে মেঝেতে বসে পড়লেন । ভিজে মাথা , ভিজে টাওয়েল গায়ে নিয়ে।” হয়তো আত্মগ্লানিতে ভিতরে ভিতরে পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছেন। যা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে না।”
মা আমাকে একটু একা থাকতে দাও। আমি চিৎকার করে কেঁদে ভিতরটা হালকা করতে চাই ।
আমাকে ডাকবে না মা । বলেই সূর্য নিজের ঘরে চলে গেল ।
সূর্যর মা ধীরে ধীরে দরজা একটু ফাঁক করে দেখেন তার স্বামী মেঝেতে বসে দুই হাঁটুর মাঝখানে মুখ রেখে বসে আছেন। মাঝে মাঝে শরীরটা কেঁপে উঠছে । সূর্য র মা এই মানুষ টাকে এইভাবে কোনো দিন দেখে নি । তার ঔদ্ধত্য দেখেছে , তার রক্তচক্ষু দেখেছে। কিন্তু এই রকম দেখে নি । হে ঈশ্বর ! ওর মনের ভিতর টা পুড়ে খাক হয়ে যাক ! তাহলে যদি কিছুটা পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয় ! একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সূর্য র মা দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে তিনি চলে গেলেন ঠাকুর ঘরে । ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে হাতজোড় করে কপালে ঠেকালেন। পাশের ঘর থেকে ছেলের কান্নার আওয়াজ আসছে । ঠাকুর ঘরে মায়ের নীরব কান্না । ছেলের কান্নার আওয়াজ শুনে তিনি চোখ দুটো বন্ধ করতেই ঝরে পড়ল জলের ধারা ।
সারা ঘর নিস্তব্ধতার শব্দ অনুরণিত হতে লাগলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *