বিভূতিভূষণ। ছন্দা চট্টোপাধ্যায়

কবিতা।
বিভূতিভূষণ।
ছন্দা চট্টোপাধ্যায়
বসন্ত পোড়া ছাই মাখতে চেয়ে শুধুই ঘুরে মরে,
হোলিকা দহনের আঁচ,জ্বালা ভিক্ষা করে দুয়ারে দুয়ারে…
বসন্ত বিভূতিভূষণ!
ইঙ্গিতে পোড়াতে বলে যার কাছে যা কিছু মনে হয় জঞ্জাল-
ভালোবাসা, বিশ্বাস, মানুষী অনুভব,যদি মনে হয় ঊর্ণনাভ জাল…
পুড়িয়ে ফেলতে পারো।
বসন্ত বিভূতিভূষণ!
আশা, স্বপ্ন যার আগেই গেছে পুড়ে,
সব হারানোর দহনজ্বালা যার অন্তর জুড়ে,
পুড়িয়ে ফেলার নেশায় মাতবে কেমন করে..
দীন দুখীজন!
তবুও দুয়ারে নাচেন,ঋতুরাজ বিভূতিভূষণ!
কবি শুধু বলে, -‘আমার কপালে যে আবীর মাখিয়েছে প্রিয়া…
নিতে পারো, এই রঙ হয়ে যাক বিভূতি;
আমার এ তাবৎ সৃষ্টিকে পুড়িয়ে করো ভস্মস্তূপ,
নতুনের জয়গানে ম্লান হোক পুরাতন রূপ!
হে দেবাদিদেব অহংএর হোক মরণ!’-
বসন্ত চুম্বন দিলো কবির কপালে…
ঋতুরাজ বিভূতিভূষণ।