সমাবর্ত — সূর্য্যোদয় রায়

সমাবর্ত
— সূর্য্যোদয় রায়
একটি ধূসর অন্ধকার জমে গিয়ে,
ফের একবার গলে গেল–
তামসিক মিঠে জ্যোৎস্নায়!
চৈত্রের বিস্মিত বেদনার নীলে,
অসম্ভব মধুরিম আর্তনাদ–
সেখানে
শতকের উত্থানে,
যদিও কালঘামে থেমে যায়!
এ প্রাগৈতিহাসিক বিড়ম্বিত সময়;
এ জগতের অনাবিল
রাতের ঢেউয়ে–
চাঁদের নিটোল জ্যোৎস্না!
শুনিয়াছে শব্দ সব–
তীরের এক উজ্জ্বল আদিগন্ত কলরব!
বিগত শতকের দেহে।
উৎসবের আঘ্রাণে আজও তার লুপ্ত গরিমা,
খসে পড়ে– মহাসময়ের যাত্রাপথে,
নরকের নিকৃষ্ট হিরোসিমা!
আকাশের আহ্লাদে,
অনন্ত তিমিরে;
জানো কবি ও এক– মূর্তপ্রাণ!
অনন্ত বিহঙ্গের মতো, জিজ্ঞাস্যের অমোঘ প্রশ্ন চিহ্নগুলি–
তবুও বিমূর্ত আরতি নিয়ে জাগে–
প্রেমের পিপাসার্ত নয়নে!
বিস্মিত সত্যের মতো,
নিরুত্তর
স্তব্ধতার অন্তিম নীলে!
বিস্ময়ে বিস্ময়ে।
ভাববার কিছু নাই—
সন্দেহ আকাঙ্খায়, অপসৃত প্রেম সব–
পিপাসার মতো শান্ত করে নিতে গিয়ে
নিজেরে হারায়! নিঃসঙ্গ চিত্রকল্পে,
কখনও বা এ জীবনের জ্যোৎস্নায়।
তেমন হারায়ো না কবি আপনারে বন পথে–
কোনও এক স্বপ্ন তমসায়,
সমুদ্রের কলরোল ঢেউয়ে;
অবিরাম মৃত্যুর অনুষঙ্গে।
মম এখানি অনুরোধ শোনও কবি —
তুমি হারায়ো না নিজেরে,
অগণন অনন্য জীবনের অন্তিম সমাবর্তনে,
অবোধ এক কামনার নীলে।।