শিরোনামঃ নারী আজও অসহায়, কলমে –অনীতা প্রামানিক–।

শিরোনামঃ নারী আজও অসহায়,
কলমে –অনীতা প্রামানিক–।
সুধা মাকে কখনো দেখেনি ,
বাপটা ছিলো ,তবে ভবঘুরে মাতাল,
মাতাল বাবা কোনো দিনও মেয়ের খোঁজ রাখতোনা নেশায় ডুবে থাকতো,
ফুটফুটে মেয়েটাকে দেখে বড্ড মন কেমন করতো আমার,
আমি প্রতিদিন বাড়ি থেকে খাবার চুরি করে দিতে যেতাম বস্তির জীর্ণ শীর্ণ ঘরে,
সুধা ভাত নয় তার মাকে খুঁজতো
সে আজ নিঃস্ব, শূন্য ঝুলি কাঁধে নিয়ে মাকে খোঁজে,
বাপটা তার মাতাল,
সুধা মায়ের কথা জিজ্ঞাসা করলে তার বাবা বলতো গতোড়ই হয়েছিল কাল,
আপদ গিচ্ছে যাকগে,
গায়ে তার ছিন্ন বস্ত্র শীতের পরোয়া করে না, তার মায়ের শাড়ির ছেঁড়া আঁচলে বাঁধা দুঃখিনী শৈশব,
সে তার মাকে চাই,
আমি রোজ সময় চুরি করি তার জন্য, কিন্তু মাকে পাবো কোথায়?
সে বলে খাবার চাইনে দিদিমনি,আমার মাকে দে,
দেখতে দেখতে সুধা কিশোরী হয়ে উঠেছে, যৌবনে পা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মায়ের মতো সেও একদিন হারিয়ে গেলো ,
আমি তাকে রোজ খুঁজি, পার্কের ছাতিম গাছের তলে,অন্ধকার গলিতে,বাবুদের বাগান বাড়ির নাচ মহলে,
কারা যেন দেখেছিলো নিষিদ্ধ গলিতে,
ছুটে গেলাম সেইখানেও সে নেই,অসতর্ক আচ্ছন্নঘুমে কঙ্কালের শীর্ণ হাতছানি
বদলের পালা তাই হাত বদলে বদলে শেষে
খবরের পাতায় নিখোঁজ ছবি,
এই সমাজের নারীরা আজও বড্ড অসহায়।