সম্পাদকীয় কলমে গীতশ্রী সিনহা

সম্পাদকীয়
গত সম্পাদকীয় কলমে বলেছিলাম মনুষ্যজাতির কমিউনিকেশনের যত ভাষা আছে তারমধ্যে শ্রেষ্ঠ ভাষা নীরবতার ভাষা।
কথা দিয়েছিলাম, আগামী সংখ্যায় ফিরে আসবো আরও কিছুটা ভাবনা নিয়ে !
নীরবতা সত্যের জননী ! শেষ পর্যন্ত আমাদের শত্রুদের কথা না ভেবে বন্ধুদের নীরবতার অনুভূতির ভাষা বুঝবো ! নীরবতা কখনোবা সেরা উত্তর ! গভীর আলাপচারিতা নীরবতা ! হাজার কোলাহলের মাঝে নীরব মানুষের দিকে সবাই দৃষ্টিপাত করে ! নীরবতা সুবর্ণ হয় যখন আপনি একটা ভালো উত্তর মনে করতে পারেন না ! নীরবতাকে নিজের দুর্বলতা নয় শক্তি বা অবলম্বন বানাতে হবে। জ্ঞানী ব্যক্তি অনেক কথা বলতে পারেন — কিন্তু তাঁর কথা শোনার উপযুক্ত ব্যক্তি কোথায় ! নীরবতার বিকল্প কিছু নেই ! নীরবতার ভাষা মন দিয়ে উপলব্ধি করতে হয় — কান সেখানে নিষ্ক্রিয় ! আশ্চর্য লাগে যেখানে কথা বলা দরকার সমাজ সেখানে চুপ থাকে ! নিম্নমানের কথার উত্তর নিম্নমান হবে — সুতরাং সেখানেও নীরবতার ভাষা অপরিসীম ! নীরবতা কথা বলে, শব্দ তখন চুপ হয়ে যায় নিজের থেকে ! আসুন সমবেতভাবে শব্দের থেকে নৈঃশব্দের ভাষাকে পড়তে শিখি ! সত্যি বলতে গেলে কতটুকু আমরা বলতে পারি, তার চেয়ে না বলা কথার পরিমান শতগুণে বেশি জমে থাকে। ঝড়ের বেগে চলে নিস্তব্ধতা !
মেঘের কাছে নীরবতা আশা করলে সে কান্না উপহার দেবে ! গর্জন মুখরতা চাইলে সে বজ্র-বিদ্যুৎ দেবে ! তাই, নীরবতা বা মুখরতা অন্যের কাছে না চেয়ে নিজেদের কাজে লাগাতে হবে ! কর্মের মাধ্যমে মুখরিত হয়ে উঠুক সফলতা!
ভালো লাগলে আগামী সংখ্যায় আবার ফিরবো ! ভালো না লাগলে অন্যকোনো ভাবে ফিরে আসবো ।
শুভকামনা শুভেচ্ছা রইল সকল কলম সাথী ও পাঠকদের প্রতি।
গীতশ্রী সিনহা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *