# দ্বিতীয় পর্ব # #কৃষ্ণবর্ণ # কলমে-:মমতা শঙ্কর সিনহা(পালধী)

# দ্বিতীয় পর্ব #
#কৃষ্ণবর্ণ #
কলমে-:মমতা শঙ্কর সিনহা(পালধী)
এবার কৃষ্ণবর্ণের একটু অন্য ব্যাখ্যায় আসি—–
এখানে কৃষ্ণকলি কথার অর্থকে আমরা যদি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এর সাথে একটু তুলনা করি তা হলে কি রকম হয়?এক্ষেত্রে “কৃষ্ণ” কথাটিকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও “কলি” কথাটিকে ফুল হিসাবে ধরি তাহলে এটা বলা যেতেই পারে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজার জন্য উৎসর্গ করা ফুলের অপার সৌন্দর্য। “শ্রীকৃষ্ণ” কালো হলেও তাঁর ভুবনমহিনী হাসি,সৌন্দর্যমন্ডিত রূপ ও চন্দন,পুষ্প চর্চিত দেহের সুঠাম রূপমাধুর্য আমাদের সকলকেই মত্ত করে।
আবার যদি প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করি দেখবো মিশরের বিখ্যাত রানী ক্লিওপেট্রাও কিন্তু কৃষ্ণবর্ণ রমনী ছিলেন।তিনি তাঁর রূপ,প্রখর বুদ্ধিমত্তা ও সৌন্দর্যের জন্য আজও জগত বিখ্যাত। কালোও যে সৌন্দর্যের আর এক প্রতীক।তবুও মানসচক্ষে “কালো” আর “ফর্সা” কুরূপ ও সুরূপ বলে বিবেচিত হয়ে চলেছে।মানুষ আজও বোঝেনা কিংবা বুঝেও বোঝার চেষ্টা করে না যে কালো হলেই সে যে কদর্য হবে তেমন কিন্তু নয়।বিচার করে না তার গুনের, সুন্দর মনস্তত্বের।অন্ধকার তো কালো আর অন্ধকারের শেষেই তো ফোটে ভোরের সূর্যোদয়ের উষার আলোক। সাদাকালো আছে বলেই তো জগতসংসারের সকল সৌন্দর্য এত বাঙময় হয়ে আমাদের চোখে সর্বদা ধরা পড়ে।
(ক্রমশ)