* পরমানন্দ * ************ গীতালি
* পরমানন্দ *
************ গীতালি
পথহারা পথিক আমি চলেছি শূন্য থেকে শূন্যে—কোন দিগন্তের ওপারে। জানি না পথের শেষ কোথায়,কীআছে পথের শেষে। তবু যেতে তো হবেই। প্রত্যেক জীবনে এই অনন্ত পথচলা –এরই নাম চলমানতা। একে যে ধরে রাখতেই হবে। পথে যতই দুঃখ আসুক, বাধা আসুক, আনন্দ আসুক, স্মৃতি মেদুরতা জড়িয়ে ধরুক তবু এ চলা অন্তহীন —
আমায় নিয়ে মেলেছ এই মেলা
আমার হিয়ায় চলছে রসের খেলা
মোর জীবনে বিচিত্র রূপ ধরে
তোমার ইচ্ছা তরঙ্গিছে।
এই যে তাঁর দেওয়া বৈচিত্র্য, তা-ই তো আমার পথের পাথেয় — অনাথের নাথ হও, অগতির গতি হও, প্রেমহীন জীবনে বুলিয়ে দাও প্রেমের পরশ….তা-ই তো তোমার নির্দেশ, হে পরমপুরুষ!
আমার এ ঘর বহু যতন করে
ধুতে হবে মুছতে হবে মোরে—
এ তো সহজ কর্ম নয়। কিন্তু পথ যে ডেকেছে, যতনে হৃদয় পথকে কলুষমুক্ত তো করতেই হবে। নয়তো তোমার পরশ পাবো কেমন করে হে জীবননাথ! জীবনের এই খেলাঘরে তোমার ডাকেই তো রয়েছি— তাই, তুমি তোমার সহস্র লীলার মাঝে একটুখানি অমৃত তুলে দেবে না কী?
তোমার আলোকের ঝর্না ধারায় স্নান করে তবেই না মুক্তি পাবো এই বিশাল আকাশতলে? ঘাসে ঘাসে পা ফেলে, ফুলের গন্ধে চমক লাগিয়ে যে আনন্দে ভরে যাব—– তা-ই তো পরমানন্দ ! তারই পথ চেয়ে যে বসে আছি।।