#প্রথম পর্ব# #কৃষ্ণবর্ণ# কলমে-:মমতা শঙ্কর সিনহা(পালধী)
#প্রথম পর্ব#
#কৃষ্ণবর্ণ#
কলমে-:মমতা শঙ্কর সিনহা(পালধী)
“কৃষ্ণবর্ণ” মানে “কালোরঙ” এটাই আমাদের সকলেরই জানা।এই কালোরঙকে সাধারনত আমারা শোকের বার্তা বাহক বা কোনো অশুভলক্ষ্যণ বলে মনে করি।আর মানব শরীরের রঙের ক্ষেত্রে কালোরঙ সর্বদাই পিছন সারিতে।শ্বেতবর্ণের মানুষ সব সময় অগ্রাধিকার পায় এই সমাজে।রমনীদের ক্ষেত্রে ‘কৃষ্ণবর্ণ’ যেনো এক অভিশাপ।এই একবিংশ শতাব্দীর মানুষ আজ এত শিক্ষিত,বিজ্ঞান মনোষ্ক হয়েও কোথাও যেনো একটা খামতি থেকে গেছে তারাদের মনের ভিতর উদারতার বিষয়ে ।এ সমাজ এখনও কৃষ্ণবর্ণ কন্যা অপেক্ষা শ্বেতবর্ণের কন্যাকেই বেশী প্রাধান্য দেয়।তারাই আজও এ সমাজে বেশী গ্রহণযোগ্যা সকলের কাছে।এ সমাজ শিক্ষা,চেতনার,মনন,সৃষ্টিশীলতার চেয়ে বড় করে দেখে তার রূপ,গাত্রবর্ণ। তার রূপ ও গাত্রবর্ণ দিয়ে বিচার হয়–গুণ নয় ।
তাই এই “কৃষ্ণবর্ণ” নিয়ে এখানে একটু কিছু লেখার চেষ্টা করলাম।
“কৃষ্ণকলি” এই নামটির মাধ্যমে বিশ্ব কবি কালোরূপের এক অসামান্য রূপ তুলে ধরেছেন।কৃষ্ণবর্ণা রমনীর রূপের সাথে বর্ষণ মুখর প্রকৃতিক রূপ যেন মিলেমিশে একাকার হয়েগেছে। “কৃষ্ণ” কথার অর্থ কালো আর “কলি” হলো ফুল।কবির কথায় কৃষ্ণকলি যেনো এক সুন্দর ফুল সমা কন্যা।তার মুক্তবেণী ঘনকালো বর্ষার মেঘের ন্যায় এলোচুল হয়ে পিঠের পরে লুটিয়ে পড়ে।তার কৃষ্ণবর্ণ চোখ হরিণের চোখের ন্যায় সৌন্দর্য মন্ডিত।কিন্তু কৃষ্ণবর্ণের এত সুন্দর ব্যাখ্যা থাকা সত্ত্বেও এ জগতসংসারে চলে কৃষ্ণবর্ণ শ্বেতবর্ণের মানুষের মাঝে হানাহানি—ঘটে রক্তপাত।কেনো এত দ্বন্দ্ব, কোনো এত বিদ্বেষ!!!কি আর বলি !! এ সমাজে বাড়ির অভিভাবকরাও কৃষ্ণবর্ণ কন্যার সুপাত্রে বিবাহের জন্য চিন্তিত হন।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তরে অনেকক্ষেত্রই চলে শ্বেতাঙ্গ কৃষ্ণাঙ্গ বিদ্বেষ—আগে যা চলতো ক্রীতদাস প্রথার মাধ্যমে তা এখন এই একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও শ্বেতাঙ্গরা কৃষ্ণাঙ্গদের হত্যা করে।চলে বর্বরোচিত আচরণ। আজ হয়তো মানুষের কিছুটা হলেও শুভোবোধ জাগ্রত হয়েছে।
তাই তো এই সকল ব্যাভিচারের তীব্র প্রতিবাদে গর্জে ওঠে সকল বর্ণের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ। ফলও হয়েছে আশানুরূপ।
এতো গেল বর্তমান অবস্থা।এবার আবারও ফিরে আসি আমি “কৃষ্ণকলি” কথার ব্যাখ্যায়।একটু অন্যরকম ব্যাখ্যা করি তাহলে কি রকম হয়?
(ক্রমশ)