ঘৃণার কবিতা লেখো হে কবি কলমে :- সূর্য্যোদয় রায়(অনিকেত)
ঘৃণার কবিতা লেখো হে কবি
কলমে :- সূর্য্যোদয় রায়(অনিকেত)
(All Copyrights are strictly resticted for me so please don’t copy it other wise I will be take action)
:- @10Surjyodoy Roy
#হৃদয়েরনিবিড়আকাঙ্খা
ঘৃণার কবিতা লেখো হে কবি–
ঘৃণা ঘৃণা!
এক নিঃসীম উলঙ্গ আকাশের বুক হতে, ধূসর সত্যময় প্রেম সাম্রাজ্যের দিকেই ধেয়ে আসা নগ্ন নৃশংস ঘৃণা!
দেখো সেই ঘৃণা একবুক আসন্ন সন্ধ্যার শীতলতায়–
জড়ো করে নাভিঃশ্বাস কেমন যেন সভ্যতার রতিময় আত্মার স্খলনে
তবুও দেখ কি অসম্ভব অষ্টমির অন্ধতায়, মর্মান্তিক শুক্লপক্ষে এ মূল্যহীন সমাজ!
অমলিন ধূলায় পর্যবসিত।
ওহো কবি–
তুমি না, বরেন্য, শিল্পী, প্রণম্য সাহিত্যিক,
সাহিত্যের আর অগাধ পন্ডিত্যের বোঝমান বিদ্বান সমঝদার!
তা তোমার কবিতার আলম্ব বিন্দুখানি বেঁকে গেল বুঝি আজ–
কই আর লেখো না তো অমন নিরুপম ঘৃণার কবিতাখানি!
চারিদিকে এই নিঃসঙ্গতা, এ অন্যায়, এ অবিচার, নিরুদ্যম তন্ত্রীর মতো প্রবঞ্চণাময় শঠতার নিরুপম নিরুদ্বাক আত্মম্ভরিতা! অবিকল মৃতের আত্মার ন্যায় কাল অন্ধ তিমিরে,
কতো রাত রক্তিম তিমিরের প্রসাধনি বিলাস!
আলিঙ্গন আলিঙ্গনে এ রাতের গূঢ় আঁধার,
নষ্টামি আর
আর এক নিরতিশয় হতভাগ্য যুবকের বরফাবৃত হিম হিম হাহাকার–
প্রত্যহ অন্ধকারে নিভে আসা প্রেমহীন একটি মুখ সেই নিষ্প্রাণ নিষিদ্ধ যুবকের।
হুঁ হুঁ হে কবি–
হে কবি দেখো নি তুমি এসব
অন্তিম নরমাংসের নিরুত্তাপ গাঢ় আত্মিক ক্রন্দনে, কেমন করে কেটে গেল সত্তর বছর!
সুদীর্ঘ অরণ্যের পথে, আরও হয়তো কাটবে সহস্রকাল–
সহস্রবছর!
বাঘ নখ ছিঁড়ে খাবে আমার মুন্ডহীন দেহ!
উজ্জ্বল মুখ– আজানুলম্বিত এ ছায়াহীন মুখময় প্রতিচ্ছবি,
মিটবে আরক্তিম অভিলাষে এ রক্তস্নান অন্তিম পিপাসা তার।
হে কবি–
হে বন্ধুবর!
তবুও তোমার সুসম্পন্ন হবে না–
নিজ আত্মায় একদলা মাটির মন্ডে
স্পন্দিত মৃত্তিকায় স্বারম্বরে নিজেরই চক্ষুদান!
হে কবি তুমি এই আজি মোর কানে কানে বলো–
তবে কি হবে না আর অনুচ্ছ্বল সোহাগির গল্পে আত্মার ধিক্কার, এ মোহহীন প্রতিবাদ!
বলো?
কাজেই নিজ অস্তিত্বকে নস্মাৎ না করে হে কবি এবার গর্জে ওঠো–
এ ধরণী মুছে যাক!
বিশ্বভূবনের বিপ্লবে বিপ্লবে
নিশ্চিহ্ন হোক এ মোহময় পৃথিবীর ধূলি!
গাছেদের স্খলিত আহ্বানে আহ্বানে সুদীর্ঘ কাল বয়ে যাক জগতের বিস্ফারিত আয়ু,
মহাকালের নিঃসীম গর্ভে–
বিস্মৃতির হেমাঙ্গ অতলে,
কাজেই নিজ চোখে দেখে নাও হে কবি
নিছকই নিজ স্নিগ্ধতম মহাত্মায়–
এইসব টুকু সাতরঙ্গা অন্তিম প্রেম
দুঃসহ ঘৃণার মোহময় মহামূল্যবান গন্ধে–
করো হে অনুভব!
এখানে ততদূর প্রণয়ের দাম নাই, শ্রদ্ধা নাই,
অনিঃশ্বেষ হৃদয়ের কোমল শ্বাসে
কোনও এক সশ্রদ্ধ আহ্বানে–
কালান্তক যুগ বিপ্লবী চেতনা নাই!
আছে কেবল স্বার্থের ঘ্রাণ,
এ আকাশ অমোঘ ব্যক্তিস্বার্থে কলহীন মেঘে মেঘে পেয়ে যাবে ঠাঁই!
রতিস্নিগ্ধ সমাজের কাছে আর্থিক মহাদম্ভে দম্ভে দেখে নাও বিদেহী আর্তনাদ!
বাস্পাকূল আর্তপথে
দেখো আজি তার সবকিছু–
দেখো দিনান্তের
দিনগত ক্ষয়!
দগ্ধ প্রাণ অনন্ত স্বপ্নের দেশে অসম্ভব পরিচ্ছন্ন পশুদের মৃত্যুর মতো।
পুনঃরায় ঘৃণার কবিতা লেখো হে কবি!
মোহরন্ধ্রে জগতের নিষ্পেষণে নির্গলিত ঘৃণা! ঘৃণা!
আরও দূর বিস্তৃত অরুণিম স্বপ্নের আকাশে,
জগতের বিয়োগান্ত এ ঘৃণার সংলাপ লেখো হে তুমি! তোমার মহাকাব্যিক উপাখ্যানে, পেলব শান্ত ব্যঞ্জনায়!
লেখা থাক কেবলই ঘৃণা।
জানবে একদিন এপথেই উদ্গত হবে প্রভাতের অনুপম সুনন্দ আলোকজ্জ্বল স্বপ্নের আকাশ!
আজ তাই
সুন্দর লালিত্যের ঝঙ্কারে,
ততখানি অপেক্ষা রাখা থাকা মহামহিম মানবত্মার চিরন্তন মানব জন্মের পথে–
ঠিক ততখানি!
আরও
তোমারেই বলি শোনও–
মনিকায় জ্বলে ওঠো
মহা প্রলয়ে হে কবি! হে অসীম অস্পষ্ট আকাশ–
গতিরুদ্ধ অবয়বে,
অনুদ্যম শূন্যতার বাস্পে!
নীলাভ ঘৃণার সাথেই।।