শিরোনাম :- কালের অন্তিম সম্ভাষণ ✒️✒️ সূর্য্যোদয় রায়
শিরোনাম :-
কালের অন্তিম সম্ভাষণ
সূর্য্যোদয় রায়
সত্যিই অতীতের অবিসম্বাদি জনপদ ধরে,
কোথায় যেন হারিয়ে গেল একটি প্রাণ!
মৃত্যুলীন অন্ধ গতি পথে,
চোরা ট্রামলাইন পৃথিবীর সর্বশেষ সময়ের ধারে, জিরিয়ে নেয় তার অবিচল নিরুদ্বেগ ক্লান্ত মুখখানি!
আকাশের প্রেক্ষাপটে উলঙ্ঘন সীমায়– তখন জড়ানো কঙ্কাল স্মরণীয় বিস্মৃতির পানে আঁখি মেলে চায়, অজেয় মৃত্যুর মতো কালান্ধ বৈভবে।
বহুদিন–
যত্ন আত্তিতে শুকায়েছে অভিশাপ! গতপথ রুদ্ধ অঙ্গনে অবিরাম নিঃসঙ্গ
কালিমায়–
তবুও মননের চোরা পথ ধরে মৃত্যুর মতো দীর্ঘ মেঘ নেমে আসে। করে হারাবার ভয় হয়,
পৃথিবীর স্বপ্নায়ত প্রণম্য আলিঙ্গনে– নিরুদ্দেশ হবার শৃঙ্খলিত, সৃজনের ক্লান্ত আক্ষেপে এইসব রক্তস্মিত আহ্বান –
অমেয় যৌত্তিকতায় আহত অক্টোবর– এইসব সৃষ্টি স্থিতি বিনাশের পরে, হয়তো প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে জাগে! পুনঃরায়
নিভে যাওয়া চেতনার শেষে কবিপ্রয়াণের ঈষৎ বর্ণোজ্জ্বল স্বপ্ন তমসায়– কালবিলম্বে অজানা বিলাপের মতো, মৃত সম্ভাষণ জেনো সেইসব!
যদি বা আজ সব ছিঁড়ে খায়– রতিস্নিগ্ধ সমাজের দম্ভেরা,
ছিঁড়ে খায়– মনিরন্ধ্রে আমাদের স্বপ্নের জ্যোতি!
কী অসম্ভব প্রহেলিকা আমাদের সর্বাঙ্গে জড়ায়,
ধর্ষকাম সমাজের রতিময় স্নিগ্ধ আলিঙ্গনে।
হায়! এ সমাজ–
যদিও বা এখানে ততদূর বিস্মৃতি নেই!
আকাশের সকাতর মুখখানি জুড়ে,
বয়ঃসিনীর অজেয় দম্ভে, প্রাণোজ্জ্বল সূর্যের স্মিত মুখখানি–
অনুপম স্বপ্ন ছড়ায়!
সেই খানে ওই মাতৃসুলভ আত্মিয়তায়, সকলে মিলেই বাঁচব আবার–
আজকের সীমাহীন আহত অক্টোবরে!
সেইখানেই পড়ে থাক সাংকেতিক মনিময় পৃথিবীর ধূলি–
এইসব পাপ!
নিরুপম
আক্ষরিক
সমষ্টির অযুত অন্বয় আসনে।
–সূর্য্যোদয় রায়