দ্বিখণ্ডিত **** গীতশ্রী সিনহা

দ্বিখণ্ডিত

গীতশ্রী সিনহা

মেরুদণ্ডহীন ভস্ম ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন জটপাকানো নৈঃশব্দ !
সময় – স্মৃতি -অদ্ভুত স্বীকারোক্তি…!
সর্বাঙ্গে উদাসীন শব্দ, ভ্রুক্ষেপহীন কোনও ঋতুর জাতক !
সাক্ষী যেন অদৃশ্য জানালার স্রোত গড়ানো নদী…
ভাঙন কবলিত অস্বস্তিকর জনপথ !
মাঝরাত অস্তিত্বে হানা দেয়… ভেসে আসে অশ্বক্ষুর ধ্বনি !
মৃদু উল্লাসে নিঃশব্দ করোটিতে নিস্পন্ন দাঁড়িয়ে !
এ যেন এক অহংকারী রাতের হেম !
শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে আসে একপৃথিবী গোপন কথা !
বিদায়ী শরীরে জেগে থাকে কিছুটা তামাটে শতাব্দীর ইতিহাস !
ভিড়ে মিশে রক্তেবেচা বন্ধ্যাগল্প !

সমুদ্র নীলের ঢেউ আছড়ে পড়ে সুপুরুষ নৈঃশব্দ কে ছুঁতে।
সৃষ্টির অকাল মায়ায় প্রকৃতির তালভঙ্গ হয় জ্যোৎস্নার প্লাবনে।
স্পর্শ সুখ বন্যতায় চতুর্দশী ললাটে রাজ তিলক এঁকে দিতে চেয়েছিল! একটি বার !
মূর্তিমান ব্যতিক্রমী অনামী বৃত্তের মাঝে লুকিয়ে থাকে নির্বাক চিত্র !
দৃষ্টিকে সন্ন্যাসী মায়ায় লেপ্টে শুধুই মন্ত্রের অক্ষর খোঁজা !
স্বপ্ন ঘেরা দিক – ভোলানো মুহূর্ত যাপন দীর্ঘ নিরালায়…
জীবনের কতো বিজ্ঞাপন চোখ থেকে মনুষ্যত্বে তপোধ্বনি ধ্বনিত করে স্নিগ্ধ শ্রাবন্তী মাঠে…!

অস্তিত্বকে অভিমানী করে বিশ্বস্ত জন্মদাগ কাচের শার্সিতে বন্ধক রাখতে হয় !
নিজস্বতা জমিয়ে উষ্ণতা ভাগাভাগি করে শোধ দেওয়া হয় নি কতো ঋণ !
শেষ রাতের হলুদ চাঁদ ইছামতী নদীর জলে একলা খেলা করে!
অ্যালুমিনিয়াম – রঙা সদ্যোজাত রোদ্দুর উপস্থিতির তান্ডব তোলে !
শুধু পুরোনো বিশ্বাসে জেগে থাকে নিমেষহারা চোখ !
তখন জীবনের কাছে প্রশ্ন তোলে সময় !
বিবেকের ঘরে চুরি…
শব্দের মুক্তি মুহূর্তকে আলিঙ্গনে আচ্ছন্ন করে…
সেই পথের দোরগোড়ায় জলজ সময়ে হিম নিশীথের নীল জ্যোৎস্না দৃশ্য থেকে ফিরে আসে সায়ন্তনী জলরেখা ছুঁতে…

তা-ও বলি ! মৃত্যুর বাইরে তুমি একটা জ্বলন্ত তারকা ! তুমি আমাদের পথ থেকে ঘরে ফেরাবে…
তোমার অনুভূতি জমাট বেঁধে গ্লেসিয়ারের মতো গলতে শুরু করবে…
তখন ভাঙন অনিবার্য… অস্থিরতা -দহন জ্বালা পাক খেয়ে ঝড় তুলবে !
তুমি জ্বলন্ত অঙ্গার ! আভিজাত্যের কাজল নদীর বাঁকে মগজের সৌন্দর্যের প্রতীক তুমি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *