” গোলাপের আত্মকথা” কলমে – রাই প্রিয়া
” গোলাপের আত্মকথা”
কলমে – রাই প্রিয়া
পথে যেতে হঠাৎ থমকে দাঁড়ালাম জঞ্জালের ধারে,
দেখি পড়ে আছে গোটাকয়েক গোলাপের তোড়া, অতি অনাদরে।
তখনো সতেজতার গন্ধ,, ম্লান হয়নি ওদের সৌন্দর্য।
ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে কিছু এঁটো শালপাতা,
কুকুরের দাপাদাপি আর কাকেদের চিৎকারে আমার ইতঃস্তত হাঁটা।
ভীষন ইচ্ছে করছিল ফুলগুলো তুলে নেবার,
কি যেনো এক দ্বিধায়, সম্ভব হলো না আর।
ফুলগুলো আমায় দেখে যেনো হঠাৎ বলে ওঠে,
আমার প্রয়োজন ফুরিয়েছে আজ ওদের,
তোমাদের ভালোলাগা আর ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়ে –
নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেম তোমাদের হাতে, শত যন্ত্রণা সয়ে।
তোমাদের মিষ্টি কথার সন্তোষে আমার যত সুগন্ধ –
ঢেলে দিয়েছিলাম তোমাদের উৎসবের ফুলদানিতে।
ভালোবাসার উপহারের চকচকে রঙিন কাগজে মোড়া একগোছা তোড়া –
তোমাদের নিবিড় বন্ধনকে করেছিল সুদৃঢ়,
বুকে জড়িয়ে তোমরা সেদিন করেছিলে প্রেম নিবেদন।
বড় স্বার্থপর তোমরা !!!
যদি সূক্ষ্ম অনুভূতিতে দেখতে আমার গোপন যন্ত্রণা,
দেখতে,, যৌবনের সৌন্দর্যে উজ্জ্বল পাপড়ি মেলে ধরা !
ঠিক তখনই দেখি তোমাদের লালসার চোখ দুটো,
বৃন্ত থেকে ছিঁড়ে, মুচড়ে তছনছ করো আমার সৌন্দর্যকে ক্ষত বিক্ষত,
যেমন খুশি ব্যবহার করো কবিতায়, গল্পে, গানে,,, আরো কত প্রয়োজনে।
হয়তো আমার মূল্য অতি নগণ্য,,তবু জেনো ,
প্রেমের জন্য নিবেদিত আমার এ প্রাণ,,
তা মেনো।
আমার অকৃপণ দান তোমাদের জীবনে চির অম্লান,
বুকের রক্ত ঝরিয়ে দিয়েছি যে প্রেম,, হে প্রিয়,,রেখো তার মান ।।