সম্পাদকীয় কলমে —— গীতশ্রী সিনহা
সম্পাদকীয়
“ওই মহামানব আসে
দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে
মর্ত ধূলির ঘাসে ঘাসে
সুরলোকে বেজে ওঠে শঙ্খ
নরলোকে বাজে জয় ডঙ্ক
এল মহা জন্মের লগ্ন
আজি অমারাত্রির দূর্গ তোরণ যত
ধূলিতলে হয়ে গেল ভগ্ন… ” বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ।
রবীন্দ্রজীবন – সাহিত্য – সংগীত – চিত্রকলা ও কর্মজীবন —— তাঁর স্বতন্ত্র সত্তার ছন্দোময় অস্তিত্বের বর্ণময় বিচ্ছুরণ।
কর্মযোগী রবীন্দ্রনাথের সুদীর্ঘ জীবনে প্রত্যক্ষ কর্মসাধনা ক্ষেত্র ওপার বাংলার পদ্মাতীর,এপারে রাঢ় বাংলার শান্তিনিকেতন। এ ছাড়াও অপ্রত্যক্ষ কর্মক্ষেত্র সুদূর শৈলশহর আগারতলা তথা ত্রিপুরা রাজ্যের রাজপরিবার।
বস্তুত, বিপুল কর্মযজ্ঞের পরিপূর্ণতা প্রদানে পদ্মাতীরে এবং শান্তিনিকেতনে রূপকার রবীন্দ্রনাথের আহ্বানে স্বদেশী বিদেশী নিবেদিতপ্রাণ বহুগুণীজন অংশগ্রহণ করে কবির কর্মদ্যোগে সহায়ক হয়েছিলেন।
কর্মযোগী রবীন্দ্রনাথের কর্মপ্রবাহের স্বরূপ সুনিপুণভাবে পেয়েছি বহুবার বহুক্ষেত্রে। আমরা জেনেছি ত্রিপুরাপর্বে অন্য এক রবীন্দ্রনাথকে — একজন অভিজ্ঞ, বন্ধুবৎসল, রাজকার্য পরিচালক, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ যুগপৎ সুনিপুণ সমাজতত্ত্ববিদ ও সর্বোপরি একজন নিষ্ঠাবান অভিভাবককে।
প্রসঙ্গত বলা যায় যে, রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘজীবন ব্যাপি আমৃত্যু কর্মসাধনায়, কী করেছেন, কী করতে চেয়েছেন এবং কবির সংকল্প কী ছিল, সে – সব কথা আজও অজ্ঞেয়। এ বিষয়ে অসংখ্য প্রবন্ধ রচিত হলেও তার পূর্ণতা ঘটেছে কিনা বলা যায় না! এই রবীন্দ্রনাথ কে বিশ্লেষণ করলে আমরা একজন সমাজসেবী, সমাজসংস্কারক এবং সমাজতত্ত্ববিদ ও দেশহিতৈষীর ভুমিকায় পাবো।
আসুন, আমাদের সংস্কার, শিক্ষা, বোধ ও চেতনায় আমরা কবিগুরুকে ছুঁয়ে থাকি।
নমস্কার।
সম্পাদকীয় কলমে —— গীতশ্রী সিনহা ।
অসাধারণ একটি লেখা!
দিদি অসাধারণ লিখেছেন। প্রিয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনেক অজানা দিকের খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন, সমৃদ্ধ হলাম। শুশু কামনা রইল দিদি।