শিরোনাম :-সার্থক লেখক:- ‌‌ শাহবাজ

শিরোনাম :-সার্থক
লেখক:- ‌‌ শাহবাজ

সার্থক হতে হতে মানুষ আজ অনেক বেশি স্বার্থপর হয়ে উঠেছে।ঘরে বাইরে যেদিকে তাকাই শুধুই নজরে আসে সার্থক নামের স্বার্থপর মানুষ গুলো। আপনি চাইলেও নিঃসার্থে চলতে পারবেন না। নিজেকে স্বার্থপর করে তুলতেই হবে আপনাকে।আর আপনি যদি তানা পারেন তাহলে আপনাকে অপমান,গালি, কষ্ট যন্ত্রণা অবজ্ঞা ঘৃণা সইবার মতো ক্ষমতা অর্জন করতে হবে।যেটা একটা রক্ত মাংসের মানুষের পক্ষে খুবই কঠিন একটা কাজ ।যদি আপনি ভাবেন সৎ নিষ্ঠাবান,মানবিক হয়ে জীবনযাপন করলে আপনি সুখী হবেন, তাহলে আপনি ভুল করছেন, আপনার ভাবনাটা মিছে ভাবনা,আপনি তাহলে বাস্তবের মাটিতে নেই,আপনি তাহলে কল্পনার জগতে রয়ে গেছেন। শেক্সপিয়র বলেছেন সব সময় ধর্মের জয় হয় না, কখনো কখনো অধর্মেরও জয় হয়, বর্তমানে আপনি বলতে পারেন কখনো কখনো ভুল করে সত্যের জয় হয়। আর আমি ধর্ম বলতে বুঝি জীবে প্রেম, আমার কাছে সমস্ত জীবকুলকে ভালবাসা, মানুষের পাশে থাকার নামই ধর্ম। আমি স্বর্গ নরকের গল্পে বিশ্বাসী নই। আব্বু বলতেন তুমি যদি সৎ মানবতার পথে চলো, তাহলে হয়ত তুমি অনেক ধনসম্পত্তির মালিক হবে না কিন্তু তোমার দিন ঠিকই চলে যাবে।আজ সেটা অনুভব করতে পেরেছি। অনেক মানুষ আশা করে থাকে সে যদি সৎ কর্ম করে,সততার সাথে চলে, তাহলে সে সুখী হতে পারবে।এই আশা করাটা একদমই ঠিক নয়।কারণ আমাদের জীবন সব সময় পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হয়।যেমন আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন পরীক্ষায় শুধু টিক মার্ক দিলে হয়ে যেত,যত উচ্চ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হই,পরীক্ষাও ততোই জটিল হতে থাকে। আমাদের জীবনটাও ঠিক এমনি,একের পর এক পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। আপনি যত দিন বেঁচে আছেন পরীক্ষাটা আপনাকে দিতেই হবে।তাই সুখের আশা না করে, আরো কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করুন। সৎ মানুষ কীভাবে অবহেলিত হয় তার দুই একটা উদাহরণ দিই। ছেলেদের জীবনের সব চেয়ে কাছের মানুষ হলো তার স্ত্রী।তাই স্ত্রী দিয়ে বলাই ভালো। যদি আপনার সংসারে কখনো অভাব অনটন লাগে, আপনার স্ত্রী পাশের বাড়ির মুর্খ গর্দভের সাথে আপনার তুলনা করতে একটুও দ্বিধাবোধ করবে না,তা আপনি যতোই M A ,B A করে থাকুন।আর এই সবই ঘটে থাকে স্বার্থে ঘা লাগার কারণে।একটা মজার কথা শুনুন ,আপনার জীবন, আপনার ধনসম্পত্তি, এমনি কি আপনার মানিব্যাগের টাকা গুলিতেও স্ত্রীর অধিকার, কিন্তু উলটো দিকে আপনার পকেট কেটে নেওয়া, স্ত্রীর জমানো টাকা, আপনার কিনে দেওয়া চুড়ি গহনার মালিক একমাত্র আপনার স্ত্রী,আর বাপের বাড়ি থেকে আনলে তো আর কথায় নেই। আমরা জানি সমস্ত টাকার মালিক রিজার্ভ ব্যাংক, কিন্তু বিশ্বাস করুন স্ত্রীর টাকার মালিক স্ত্রী নিজেই।আজ একটা কথা বলি কখনো কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না, এমনকি স্ত্রীকেও নয়। আপনি অতি আহ্লাদে খুব সহজেই বলে ফেলেন বিয়ের আগে কয়টা প্রেম করেছেন, কবে কাকে হামি খেয়েছেন, বাজার থেকে এসেই গল্প শুনান -রাস্তায় কি কথা হলো।আর আপনার এই কথা গুলি একদিন আপনার কাল হবে, আপনার স্ত্রী কথায় কথায় খুঁজা চালাবে,এতোটাই খুঁজা চালাবে যে আপনি এই পৃথিবীতে নরক দেখতে পাবেন।সবাই বলে মেয়েদের পেটে নাকি কথা দাঁড়াই না।কথাটা সত্য,তবে অন্যের মন্দ কথা পেটে দাঁড়াই না।আর নিজের মন্দ কথা পেট থেকে মুখে আসেনা। এমনকি মেয়েরা নিজের মন্দ কথা আপন মা কেও বলেনা।মেয়েরা সাতটা প্রেম করার পরেও অবলীলায় বলতে পারে কারো সাথে প্রেম ছিল না।বড় জোর বলবে একজনকে পছন্দ ছিল,তবে সম্পর্কটা এগোয়নি,আর পছন্দের কথা বলা হয়নি তাকে।আর এত সুন্দর ভাবেই বলে মনে হয়,ধোয়া তুলসী পাতা যেন।আর মেয়েরা তার সন্তান ছাড়া কখনোই কাউকে ভালোবাসেনা।তবে এই বিষয়ে বিতর্ক থাকতে পারে,তবে দুই একজনগুণবতী নারী থাকলেও থাকতে পারে।তবে সেটা মরুভূমির বুকে মরুদ্যান খুঁজে পাওয়ার মতো একটা বিষয়।

তাই ছেলেদের দুই একটা কথা বলি শুনুন- কখনোই রাস্তার কথা বাড়িতে নিয়ে যাবেন না।আর স্ত্রীর সামনে সত্যবান যুধিষ্ঠির সাজতে যাবেন না।আর নিজের টাকা পয়সা কখনোই সম্পূর্ণ হিসেব দেবেন না। নিজের জন্য আলাদা করে একটা গোপন অ্যাকাউন্ট খুলে রাখবেন,আর সেখানে এমন একটা অঙ্কের টাকা জমিয়ে রাখবেন যেন আপনার শেষ জীবনটা ভালোভাবে কেটে যায়।আর স্ত্রীর দায়-দায়িত্ব যেহেতু আপনার তাই বাকি ধন সম্পত্তি স্ত্রীকে দিয়ে দেওয়াই ভালো। কিন্তু পুরো কলসি উজাড় করে দেবেন না।সে আপনার স্ত্রী আপনাকে যতোই ভালোবাসুক আর যতোই মিষ্টি কথা শুনাক।আর হ্যাঁ স্বামী ও স্ত্রীর একে অপরের প্রতি বিশ্বাস থাকা উচিত, কিন্তু অন্ধ বিশ্বাসী হবেন না।মাঝে মাঝে সন্দেহও করবেন।আমি কারো সংসার ভাঙার কথা বলছি না , বরং সম্পর্ক মজবুত করার কথা বলছি। সন্দেহ না করলে বুঝবেন কীভাবে আপনার প্রিয় মানুষটি আপনাকে কতটা ভালোবাসে। তাছাড়া একটা কথা আছে -যার মনে সন্দেহ জাগে না,যার মনে হারাবার ভয় কাজ করেনা,তার মনে নাকি ভালোবাসাও রয়না।আর সন্দেহ করে যদি তেমন কিছু ধরা পড়ে,তাতেও আপনার লাভ বোয় ক্ষতি হবেনা,সামলে নেওয়ার সময় পেয়ে যাবেন ।

আসলে এই পৃথিবীর সবাই নিজের নিজে।তাই আপনিও কিছুটা সময় নিজের হয়ে থাকুন।
সব শেষে বলব দুনিয়া পরিবর্তনশীল,তাই নিজেকেও পরিবর্তিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *