মায়ের চিঠি
মায়ের চিঠি
বাবুন,
আশা রাখি তুই আছিস বেশ নিজেকে নিজের মতো ভালো রাখার যাবতীয় সবকিছুর মধ্যে জড়িয়ে রেখে।
কিন্তু বিশ্বাস কর আমিও ভালো আছি তোর সমস্ত কিছুর মধ্যেই তোর ভালো থাকার গল্পগুলো নিয়ে।
শোন্ এবার আবার তুই এলেই হস্তশিল্প মেলায় যাবো..
অপেক্ষা করে আছি..
সত্যিই আজ গতবছরের কথা ভাবছি আর চিঠি লিখছি..
গত বছর এই সময়ে আমরা শান্তিনিকেতনে…
উফ্ ফাটাফাটি বাউল গান আর আমাদেরও তালে তাল মিলিয়ে পা ফেলা.. কখনো সাঁওতালিদের মাদল তালে..
বলনা বলনা আবার কবে আসবে সেদিন..!
এখন মধ্যবয়সে এসে সব না পাওয়া যেন তোর হাত ধরে পূরণ করতে ইচ্ছা করে।
চিঠি পড়ছিস আর হাসছিস তো…!
কেন মনে নেই তোর, টোটো থামিয়ে রাস্তায় কঙকালী তলা যাবার পথে নতুন গুড়ের জ্বাল হচ্ছে, চেখে দেখা আর সঙ্গে সঙ্গে আড়াই কেজি কিনে ব্যাগে ভরা !
আজ দুধ জ্বাল দিয়ে রেখেছি..
তোর বাবার বাজার থেকে কিনে আনা গুড় দেখেই চোখে জল আসছে আগের ঐ স্বাদের গন্ধ মনে করে ।
সর্দিও জব্বর লেগেছে..
নাকও কান্না জুড়ে জলে ভাসছে।
বেশী বড়ো লিখলে তোদের আবার পড়তে ভালো লাগেনা..কিসব কোড ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে শর্টহ্যান্ড টাইপ মেসেজ করিস… পড়তে কয়েক সেকেন্ড ভাবতে আমার দুমিনিট ..ভালো করে শরীরের যত্ন নিস। বড়োদিনের পায়েস থাকবে নলেন গুড়ের, তোর মনোমতো ভালো গুড় একজনকে অর্ডার করে রেখেছি…
অপেক্ষায় রইলাম বড়োদিন আর সঙ্গে তুই মিলে একটা বিশেষ দিনের জন্য….
আদর দিয়ে শেষ করলাম রে।___
” মা”