সম্পাদকীয় কলমে —- গীতশ্রী সিনহা
সম্পাদকীয়
জীবন ছুটছে, জেট গতিতে ! আধুনিকতার সঙ্গে পাল্লা দিতে ছুটছে নতুন প্রজন্ম-ও। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অর্থহীন নানা জটিলতার কারণ ! সভ্যতা- সংস্কৃতি – সাহিত্য কে পিছনে ফেলে দৌড়াদৌড়ি চলচ্ছে অ-সংবেদনশীল অপসংস্কৃতির লোভনীয় হাতছানি ! আক্রান্ত হচ্ছি আমরা বিভিন্ন মানসিক- শারিরীক পীড়াদায়ক ব্যাধিতে। অপরের ভালো দেখে নিজেরা জর্জরিত হতে চলেছি মানসিক গ্লানিতে !
তাই বলছিলাম, হৃদয় ভালো না থাকলে মন চনমনে থাকবে না, আর নিজেরাও ভালো থাকবো না।
আসুন, সমবেতভাবে লিপ্ত থাকি সৃষ্টির আনন্দে ! এখনও সময় আছে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার ! অন্যদিকে না দেখে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী গড়ে তুলুন। সীমাহীন বৈচিত্র্যময় জীবনে বিস্ময়ের চমক জাগিয়ে তুলি প্রতিনিয়ত।
হারিয়ে গেছে সাহিত্যের বিভিন্ন স্তর, তাদের খুঁজে পেতে হবে ! ফিরিয়ে আনি “পত্র সাহিত্য”- কে !
আসুন না সমবেত প্রচেষ্টায় আগামী সংখ্যায় শুধুই “পত্র সাহিত্যে” – নিয়ে কাজ করি।
সে-ই কবেকার পুরনো মঙ্গলকাব্যের পাতায় এক পাটনী মাঝি দেবী অন্নপূর্ণার কাছে বর চেয়ে বলেছিল, “আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে”। তারপর… ইতিহাসের প্রেক্ষাপট কতোবার বদলে গেছে, তবুও এই কথাটা রয়ে গেছে শাশ্বত অমোঘ উক্তির মতো। কথাটা আটপৌরে হলেও, চিরকালীন। হয়তো বলার ভঙ্গিমা টুকুই বদলে গেছে ! কিন্তু সন্তানের মঙ্গল কামনা ? তার যত্ন, সুরক্ষা ? এগুলো তো এখনও অটুট আছে ! সাহিত্য – সংস্কৃতি কে আমাদের সন্তানসম মনে করে এগিয়ে চলি !
অনেক সৃষ্টি হারিয়ে যায় অবহেলায়, অভিমানে। ‘হারিয়ে গেছে’–র থেকে হারিয়ে ফেলি… ধূসর হয়ে যায়।
অন্তরের অন্তস্তলে জন্ম নেয় মন আর ইচ্ছে নামক দুটি চরিত্র। তাদের সহবস্থান নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু তাদের নিজেদের আচার আচরণ সদাই যে একে অপরের সহযোগী সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা বিপরীতগামী। মন চাইলেই ইচ্ছে করবে বা ইচ্ছে করলেই মন সায় দেবে এমনটি হবার নয়। তাই মানুষ এত দ্বিধাগ্রস্ত। মানুষের উত্তরণ বাধাপ্রাপ্ত হয় এদেরই খামখেয়ালী আচরণে। তবে এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে যদি কখনও এই দুইয়ের মিলন ঘটে তবে সিদ্ধিলাভ অবধারিত।
শুভকামনা শুভেচ্ছা রইল সকল সদস্যদের যারা পাঠক হিসেবে আছেন, যারা কলম ধরে চলেছেন দীর্ঘ পথ দিনাজপুর ডেইলি ওয়েবসাইট ম্যাগাজিনের জন্য।
সম্পাদকীয় কলমে —- গীতশ্রী সিনহা