নষ্ট ছেলের উপাখ্যান —- সঙ্গীতা কর
নষ্ট ছেলের উপাখ্যান
সঙ্গীতা কর
বুক পকেটে সব সময় লুকানো থাকে পিস্তল
তবুও আমায় ক্রুশবিদ্ধ হতে হয় প্রতি রাতে,
হয়তো সরাসরি মৃত্যুদণ্ড দিতে নয়
কুরে কুরে খেতেই সমাজ ভালোবাসে!
দু-চোখের স্বপ্ন কবেই তো গেছে পুড়ে
ভাবনার জগতে এখন ভাসে পোড়া ভাতের গন্ধ,
মধ্যবয়স্ক দুঃস্বপ্নের ঘোরে কানে আসে স্কুল মাষ্টারের ডাক………………
“অ্যাই রামু তোর বাবার নাম কী বল?না জানলে আর আসিস না”
চোখ খুলে তাকিয়ে দেখি দেয়ালে টাঙানো ছবি
কুমারী মাতা মেরির কোলে ছোট্ট যীশু, আর দেবী কুন্তির পাশে কর্ণ,
বস্তির রাখাল দাদু বলতো যীশুর বাবা যোসেফ, কর্ণের বাবা সূর্যদেব,
কিন্তু মাস্টারমশাইয়ের করা প্রশ্নের উত্তর সবারই ছিলো অজানা,
উত্তর না পেয়ে নীলিমা-ও গেছে ছেড়ে, কেউ নেই ঘরে পাশ বালিশ ছাড়া,
বন্ধুদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যে এখন ঘৃণার বদলে রাগ জমে খুব,
চায়ের দোকানের মালিকটি-ও কাজ দিয়েছে ছাড়িয়ে,
তবে পটলা মস্তান সেদিন থেকে তার বুক জুড়ে রাখে আমায়
মূর্খ বেকারের হাতে পিস্তল দিয়ে এলাকা দখল চালায়।
আচ্ছা মা, পেটের দায়ে তোমার কী জোটেনি অন্য কোনো কাজ,
তবে কেন স্বইচ্ছায় নিয়েছিলে শরীর বেচা বারবণিতার সাজ???